একই দিনে একগুচ্ছ রেকর্ড। তিনজন ব্যাটারের দুর্দান্ত অর্ধশতরান। পূজা ভাস্ত্রকরের দুর্দান্ত অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স। কোনও কিছুতেই কাজের কাজ হল না। আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপে শক্তিশালী অজিদের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানেই হারতে হল ভারতকে। যার ফলে টিম ইন্ডিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্ক অনেকটা জটিল হয়ে গেল।
নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারের জেরে অজিদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ভারতের জন্য কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ ছিল। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হারেন অধিনায়ক মিতালি রাজ। প্রথমে ব্যাট করতে হয় ভারতকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ওমেন-ইন-ব্লু’র। মাত্র ২৮ রানে দুই উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক মিতালি এবং ইয়াস্তিকা ভাটিয়া। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। ভাটিয়া করেন ৮৩ বলে ৫৯ রান। মিতালি করেন ৯৬ বলে ৬৮ রান। বিশ্বকাপে এটি তাঁর ১২ তম অর্ধশতরান। যা কিনা বিশ্বরেকর্ড। মিতালি আউট হওয়ার পর হরমনপ্রীত কৌর এবং পূজা ভাস্ত্রকর ভারতের ইনিংসের শেষটা দুর্দান্ত করেন। ৪৭ বলে ৫৭ রান করেন হরমনপ্রীত এবং পূজা করেন ২৮ বলে ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেহে ২৭৭ রান করে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই দুর্দান্ত করে অজিরা। প্রথম ইউকেটের জুটিতেই র্যাচেল হাইনেস এবং অ্যালিস হেলি ১২১ রান তুলে ফেলেন। হেলি করেন ৭২ রান। হাইনিস করেন ৪৩ রান। প্রথম ইউকেটের পতনের পর অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ইনিংসের হাল ধরেন এবং দলকে জয়ের কাছাকাছি। শেষদিকে ভারত কিছুটা কামব্যাক করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল অজিরা। ল্যানিং করলেন অপরাজিত ৯৭ রান। মহিলা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি রান চেজের রেকর্ড।
এদিন টিম ইন্ডিয়ার আরেক সিনিয়র তারকা ঝুলন গোস্বামীও মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এটি ছিল ঝুলনের কেরিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচ। যদিও এই ম্যাচে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি। এই হারের ফলে পাঁচ ম্যাচে ভারত ৪ পয়েন্টেই আটকে রইল। সেমিফাইনালে জেতে হলে টিম ইন্ডিয়াকে শেষ দুটি ম্যাচে জিততেই হবে। সেই সঙ্গে অন্যদের ফলাফলের দিকেও নজর রাখতে হবে।