লড়াইটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। ম্যাচ শুরুর আগেই দলের ফুটবলারদের এই মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ ফেরান্দো। কোচের সেই গুরুমন্ত্র মেনে এদিন অসাধ্যসাধনের উদ্দেশে একপ্রকার প্রাণপাত করলেন রয় কৃষ্ণ, নিস্টেন কোলাসোরা। কিন্তু বিধি বাম। হায়দরাবাদের রক্ষোণের অভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারল না এটিকে মোহনবাগান। ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে যাওয়া হল না সবুজ-মেরুনের। প্রথম পর্বের বড় হারই কাল হল।
সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে হারে এটিকে-মোহনবাগান। ফাইনালে যেতে হলে তাই আজ অন্তত ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিততে হত রয় কৃষ্ণদের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেটা যে সহজ কাজ হবে না তা ভাল করেই জানতেন এটিকে মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো। সম্ভবত সেজন্যই একেবারে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে দলকে খেলানো শুরু করেন তিনি। আক্রমণভাগে গতি এবং পাসের ফুলঝুরিতে মাঠে যেন সোনার ফসল ফলাচ্ছিলেন কোলাসো-কৃষ্ণরা। কিন্তু সমস্যা সেই একটাই শেষ পর্যন্ত গোল কিছুতেই আসছিল না।
একের পর এক শট, দুর্দান্ত উইং প্লে, ফাইনাল থার্ডে পায়ের কারুকাজ সবই হল, কিন্তু আসল কাজটিই করতে পারলেন না এটিকে-মোহনবাগান স্ট্রাইকাররা। সবুজ-মেরুন এবং ফাইনালের মাঝে অভেদ্য প্রাচীর হয়ে রইল হায়দরাবাদের রক্ষণ আর অবশ্যই গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে প্রথমার্ধ গোলশূন্য রাখতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ।
কিন্তু তাতে আশাহত হননি রয় কৃষ্ণরা। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁরা আরও উদ্যমের সঙ্গে নামেন। এবারে আরও বাড়ানো হয় আক্রমণের ঝাঁজ। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অনবদ্য গোল করে দলকে এগিয়েও দেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু কাজের কাজ হল কই। শেষপর্যন্ত কৃষ্ণর ওই গোল শান্ত্বনা পুরস্কার হয়েই থেকে গেল। এটিকে মোহনবাগান ১-০ গোলে ম্যাচ জিতলেও দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতে ফাইনালে চলে গেল হায়দরাবাদ। আইএসএল জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল সবুজ-মেরুনের।