ঠাকুরনগর: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান সোমবার সন্ধ্যায় সিএএ লাগু হয় দেশজুড়ে আর এই ঘোষণার পরেই মতুয়া উদ্বাস্তুদের মধ্যে চরম উচ্ছ্বাস দেখা যায়। গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া ভক্তরা এসে হরি গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে ডঙ্কা কাশি নিশান নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। সোমবার পেরিয়ে মঙ্গলবার পরতেই সকাল থেকে মতুয়া ভক্তরা ঠাকুরবাড়িতে এসে ভিড় করেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। তারা দেখা করেন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ডঙ্কা কাশির শধে সমস্ত ঠাকুরবাড়ি মুখরিত হতে থাকে। প্রসঙ্গত হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের আঙুল থেকে মতুয়া উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল মতুয়ারা। ২০১৯ সালে ঠাকুরবাড়ির ছেলে শান্তনু বিজেপির প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন তিনি মতুয়া উদ্বাস্তুদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সিএএ লাগু করার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরবাড়িতে এসেও কথা দিয়েছিলেন।
শান্তনু ২০১৯ সালে ভোটে জেতার পর বিজেপি ফের ক্ষমতায় আসে। এরপরে সিএএ আইন চালু হলেও তা লাগু করা যায়নি। সোমবার সেই আইন লাগু হতেই খুশির হাওয়া মতুয়াদের মধ্যে। এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, ৭৫ বছরের লড়াইয়ের অবসান। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইন লাগু করলেন। এদিন হাবড়ায় সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি সিএএ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি বলেন, বিজেপি লুডু খেলছে, বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর চক্রান্ত করছে। এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, উনি দ্বিচারিতা করছেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এদিন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলেন, উনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন অনুপ্রবেশকারীদের বলতেন সিপিএমের ভোটব্যাংক ও সিএএ এর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। এখন ক্ষমতায় এসে উল্টো কথা বলে দ্বিচারিতা করছেন।