নতুন দিন, বিষয়টা সেই এক। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এখন প্রতিটা ম্যাচই তাই। ঘরের মাঠে আজ কেকেআরের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। যদিও এ বার প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। গত ম্যাচে ঘরের মাঠেই রাজস্থানের বিরুদ্ধে নেমেছিল কেকেআর। শেষ বলে মাত্র ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়। প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়া আরও একটি দলের বিরুদ্ধেও লড়াইটা একইরকম কঠিন হতে চলেছে। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংসের হারানোর কিছু নেই।
গত দু-ম্যাচের পরিসংখ্যান বা পারফরম্যান্স ধরলে, কেকেআর ভালো ছন্দে রয়েছে। কিন্তু সমস্যাও থেকে গিয়েছে একটা। ধারাবাহিকতার অভাব। কেকেআর এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে, যেখানে আর ভুল করার জায়গা নেই। ব্যাটিং বিভাগে গত ম্যাচে রাসেল দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলায় ভরসা এসেছে। রিঙ্কু সিংও ভালো খেলেছেন। এ মরসুমে কেকেআর ব্যাটারদের মধ্যে ধারাবাহিকতার দিক থেকে এগিয়ে মাত্র দু-জন। ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে এবং তরুণ ব্যাটার অংকৃষ রঘুবংশী। গত ম্যাচে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও রিয়ান পরাগের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সাময়িক খেই হারিয়েছিল কেকেআর।
ইডেন অবশ্য আজ কেকেআরের অ্যাওয়ে ম্যাচের আবহও থাকতে পারে। সৌজন্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ম্যাচের আগের দু-দিন প্র্যাক্টিসে দেখা না মিললেও তিনি খেলবেন, এমনটা জানিয়েছেন সিএসকের বোলিং কোচ। চেন্নাই গত কয়েক ম্যাচেই নতুন প্লেয়ারদের সুযোগ দিয়েছে। শেখ রশিদ, আয়ুষ মাহত্রে, প্রোটিয়া তরুণ ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। সীমিত সুযোগে প্রত্যেকেই ভালো পারফর্ম করেছেন। আয়ুষ মাহত্রে গত ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। তিনি ক্রিজে টিকে থাকলে আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিততেও পারত সিএসকে।
সিএসকের আরও এক তরুণ, কিপার-ব্যাটার বংশ বেদীরও খেলার কথা ছিল। চোটের কারণে ছিটকেই গিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে সই করানো হয়েছে উর্ভিল প্যাটেলকে। ইডেনে আজ আইপিএল অভিষেক হতে পারে উর্ভিলের। কেকেআরের কম্বিনেশনে অবশ্য বদলের সম্ভাবনা কম। তবে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মইন আলিকে রাখা হবে নাকি ফেরানো হবে রোভম্যান পাওয়েলকে, এই প্রশ্নটা থাকতেই পারে।