উপত্যকায় সিআরপিএফ প্রত্যাহারের ইঙ্গিত অমিত শাহের!

প্রায় তিন বছর হতে চলল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলার অব্যবস্থাকে ঢাল করেই সেখান থেকে সংবিধানের এই ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল যার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদার তকমা হারিয়েছিল। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংসদে এই আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর থেকে তিন বছর হতে চলল জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরাসরি কেন্দ্রের হাতে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নের আভাস দিলেন অমিত শাহ। তিনি এদিন দেশের সর্ববৃহৎ আধা সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সিআরপিএফ এর প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন যে, আর কয়েক বছর পরে জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বে আর তাঁদের দরকার পড়বে না হয়ত।

এদিন শ্রীনগরে সিআরপিএফ জওয়ানদের ৮৩ তম প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকে তিনি বলেছেন, ‘ যে সংকল্প নিয়ে সিআরপিএফ কাশ্মীর, নকশাল এলাকা এবং উত্তর পূর্বে কাজ করছে, আমি আত্মবিশ্বাসী যে কিছু বছরের মধ্যেই আমাদের আর এই তিনটে অঞ্চলে সিআরপিএফ মোতায়েনের দরকার পড়বে না। এই তিনটি অঞ্চলেই শান্তি বজায় থাকবে। এবং এটি যদি ঘটে তাহলে তার সব কৃতিত্ব সিআরপিএফ-র।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় কাজ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা হল পাকিস্তান-স্পন্সর্ড সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন তাঁরা। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্রুসেডে স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। তিনি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। তিনি এদিন বলেছেন যে, ২০১৯ সালের অগস্টে ৩৭০ ধারা রদের ফলে বঞ্চিত-সহ সমাজের সকল শ্রেণির উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর আরও সংযোজন যে, গণতন্ত্রকে গ্রাম পর্যায়েও সফলভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রায় ৬৫ হাজার আধাসেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। যা সিআরপিএফের মোট শক্তির এক চতুর্থাংশ। সেই সঙ্গে রয়েছে সেনা, কাশ্মীর পুলিশ, বিএসএফ (BSF), এসএসবি (SSB), আইটিবিপির (ITBP) বহু ট্রুপ। আসলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই কাশ্মীরের পরিস্থিতির অবনতি হয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সেনা এবং আধাসেনা নিয়োগ করতে হয় কেন্দ্রকে। তারপর থেকেই এই বিপুল পরিমাণ বাহিনী উপত্যকায় মজুত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =