নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বিজেপি নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
এক বিজেপি নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হল বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকায়। মৃতা বিজেপি নেত্রীকে পদের লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও শেষমেশ তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপিরই এক নেতার বিরুদ্ধে। নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতার কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। লোকসভার নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভায় বিজেপির পরিচিত মুখ ছিলেন মৃতা। দলের মহিলা মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে সোনামুখী পুরসভা নির্বাচনে দল তাঁকে একটি ওয়ার্ডে প্রার্থীও করে। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নেত্রী। এরপরই নেত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ, বিজেপির এক জেলা নেতা প্রথমে পদের লোভ দেখিয়ে ওই নেত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর নগ্ন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন বিজেপির ওই জেলা নেতা। বিষয়টি নিয়ে নেত্রী সোনামুখী থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে বলে দাবি।
নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ফের সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। ধর্ষণের পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। অভিযুক্ত নেতা পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পলাতক থাকায় বক্তব্য মেলেনি অভিযুক্তর। তবে একদিকে নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু অন্যদিকে এই ঘটনার পর দলেরই এক জেলা নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, আইন আইনের পথে চলবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।