কেরিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি হয়তো খেলে ফেললেন উনচল্লিশের মিতালি রাজ। কিন্তু শেষ বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখা হল না। সেমিফাইনালে পৌঁছনোর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে ছিটকে যায় ভারত। আর তারপরই অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন ভারতীয় প্রমিলাবাহিনীর অধিনায়ক।
এদিন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় রানই তুলেছিলেন হরমনপ্রীতরা। মিতালি করেন ৬৮ রান। আটটি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করার নজির ছিল মিতালির। আবার সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবেও অর্ধশতরান করেন তিনি। মোট ছ’টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার নজিরও মিতালির ঝুলিতে। সেই তারকা ব্যাটার-অধিনায়কই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে দিলেন অবসরের ইঙ্গিত। তাঁর কথায়, “সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আবেগকে সামলাতে সত্যিই সময় লাগে। কিন্তু এটাই তো ক্রিকেট। যাঁরা প্রতিটা ম্যাচে ভারতকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। ভারতীয় মহিলাদের জন্য আপনারা যেভাবে গলা ফাটিয়েছেন, তা সবসময় উপভোগ করেছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবেই সমর্থন করবেন।” এই বার্তাই যেন চুপিসারে বলে দিল, ২২ গজ থেকে হয়তো শীঘ্রই সরে দাঁড়াতে চলেছেন মিতালি।
মিতালির পাশাপাশি জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেল ঝুলন গোস্বামীরও। চল্লিশের কোটায় পা রাখা পেসার দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। এদিন চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি। তবে ম্যাচ শেষে মিতালির গলাতেও শোনা গেল ঝুলনের প্রশংসা।
এদিনের ম্যাচে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল একটা নো বল। যার জেরে ঘুরে যায় খেলার মোড়। মহিলা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের দোরগোড়া থেকে হারতে হয় ভারতকে। প্রোটিয়াদের ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাটার লং অনে ক্যাচ দিয়ে দেন। কিন্তু তার পরই দেখা যায় সেটি নো বল ছিল। আর ওই নো বলের জন্যই হারতে হল মিতালিকে। এ প্রসঙ্গে মিতালি বলেন, “ভারতের ক্ষেত্রে নো বলগুলি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠেছে, এমনটা মনে পড়ে না। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েক ওয়ানডে খেলেনি দীপ্তি। তা সত্ত্বেও ওর পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়।”