নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: মেলার নাম খেরওয়াল তুকৌ। খেরওয়াল তুকৌ হল একটি আদিবাসী শধ। খেরওয়াল শধের অর্থ মানুষ এবং তুকৌ মানে মিলনমেলা। মানুষের মিলনমেলার এই উৎসব পালন করা হয় বর্ষবরণের সময়। আদিবাসী এই মহোৎসবে জমা হন হাজার হাজার মানুষ। রঙিন এই মিলনমেলায় গোটা রাজ্য থেকে বিভিন্ন আদিবাসী লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যেমন-পুরুলিয়ার কাশীপুরের আদিবাসী নৃত্য, মালদার গম্ভীরা।
শময়িতা মঠের পরিচালনায় ২৮তম খেরওয়াল তুকৌ পালিত হল বাঁকুড়ায়। মেলা, আদিবাসী শিল্প থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গে সকলের জন্য মধ্যাহ্ন প্রসাদের ব্যবস্থা ছিল খেরওয়াল তুকৌতে। থাকছে শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে শিউলিবোনা গ্রামের উপকণ্ঠে আনুমানিক ২৪-২৫ হাজার মানুষ, এমনটাই জানালেন শময়িতা মঠের সম্পাদিকা ঋষি ঋদ্ধা অনাহতা।
বাঁকুড়ার তথা আদিবাসী সংস্কৃিতর নিদর্শন দেখতে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহর থেকে এসেছেন একাধিক পর্যটক। তাঁরাও উপভোগ করে দেখলেন খেরওয়াল তুকৌ। কথা বলে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে বাঁকুড়ায় এসেছেন তাঁরা, মাস দুই আড়াই শময়িতা মঠে থাকবেন এবং শময়িতা মঠের স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্ম তাঁরা দেখবেন। জেলার মানুষ যখন নতুন ইংরেজি বছর নিয়ে মাতোয়ারা, তখন পাহাড়ে নীচে পড়ন্ত বিকেলে এই ছোট্ট মেলার আলাদাই স্বাদ। গ্রামের আদিবাসী মানুষজন গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, আবারও অপেক্ষা শুরু এক বছরের খেরওয়াল তুকৌর।