ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ব্যাটিং ঝড় বেশ কিছু দেখা গিয়েছে। সানরাইজার্সের হয়ে একের পর এক চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন। জাতীয় দলে প্রথম বার ডাক পান টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছিল তরুণ ভারত। শুভমন গিলের নেতৃত্বে সেই টিমে ছিলেন অভিষেক। দেশের জার্সিতে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মাঝে কয়েক ইনিংসে হতাশা ছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। সিরিজের শেষ ম্যাচে রেকর্ড সেঞ্চুরির ইনিংস। কী বললেন ম্যাচের সেরা অভিষেক?
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাত্র ৫৪ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক। এর মধ্যে ১৩টি ছয়। বাউন্ডারি মেরেছেন সাতটি। দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতির ফলই যে পেয়েছেন, বারবার সে কথা তুলে ধরেন অভিষেক। এমন ইনিংস বারবার দেখা যায় না। অভিষেকও বলছেন, ‘যে কোনও প্লেয়ারকেই জিজ্ঞেস করুন, এরকম ম্যাচ বারবার আসে না। এতদিনের পরিশ্রমের ফলেই এরকম একটা ইনিংস খেলতে পেরেছি। কোচ, ক্যাপ্টেন পাশে না থাকলে সম্ভব হত না।’
ব্যাট হাতে যেমন নজর কেড়েছেন, তেমনই বোলিংয়েও। মাত্র ১ ওভার ব্য়বহার করা হয়েছে। তাতেই মাত্র ৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট। অভিষেক শর্মার মুখে ভারতীয় ক্রিকেটের আরও দুই তরুণ মুখ শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের নামও। তেমনই কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না তাঁর মেন্টর যুবরাজ সিংকেও। সেঞ্চুরির পর বিশেষ সেলিব্রেশনে দেখা যায় তাঁকে। অভিষেকের কথায়, ‘আমার পরিবার মাঠে উপস্থিত ছিল। তাদের সামনে এমন একটা ইনিংস খেলতে পারা দারুণ গর্বের ব্যাপার।’
অভিষেক আরও যোগ করলেন, ‘আগের দিনই (বোর্ডের অনুষ্ঠানে) শুভমন ও যশস্বীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল, সিনিয়র দলের হয়েও খেলব। তিনজনই দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে!’