আইপিএলের ধাঁচে সিএবিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ

দেরিতে হলেও বোধোদয় বাংলা ক্রিকেট সংস্থার। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থা যে পথ দেখিয়েছিল, তা অনুসরণ করল বাংলার ক্রিকেট সংস্থাও। আইপিএলের ধাঁচে কর্পোরেট কায়দায় এ বার বাংলাতেও টি-২০ লিগ। পোশাকি নাম বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ। জুন মাসে ২১ দিনের টুর্নামেন্ট। পারফরম্যান্স অনুযায়ী ক্রিকেটারদের ক্যাটেগরি ভাগ করা হবে। থাকবে স্যালারি ক্যাপ। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ (১০ কিংবা ১১ তারিখ) থেকে শুরু হবে আটদলীয় টুর্নামেন্ট। ছেলেদের খেলা হবে ইডেনে। মেয়েদের খেলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। সিএবি লিগে খেলা ক্রিকেটাররাই খেলতে পারবে টুর্নামেন্টে। ড্রাফটিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটার বাছাই। দ্বিতীয় বছর থেকে অকশনের মাধ্যমে ক্রিকেটার নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।

১৩৬ জন পুরুষ ক্রিকেটার এবং ১২৮ জন মহিলা ক্রিকেটার অংশ নেবেন এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। প্রত্যেক দলে থাকবে ১৭ জন ক্রিকেটার। মহিলা দলে থাকবেন ১৬ জন ক্রিকেটার। জুন মাসে টুর্নামেন্ট। বর্ষা অবশ্যই ফ্যাক্টর। সিএবির হাতে এ ছাড়া আর বিকল্পও নেই। তাই ওই উইন্ডোতেই হবে বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ। সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনও ফাইনাল হয়নি। সিএবি প্রেসিডেন্ট আশাবাদী কয়েকদিনের মধ্যেই তা ফাইনাল হয়ে যাবে।

প্লেইং ইলেভেনে একজন করে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার বাধ্যতামূলক। কিন্তু ক্রিকেটারদের কী ভাবে নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো? সিএবি প্রেসিডেন্টের উত্তর, ‘পারফরম্যান্সের নিরিখে ক্রিকেটারদের ক্যাটেগরি ভাগ করা হবে। কিছু সিনিয়রকে রাখা হবে মার্কি ক্রিকেটারদের তালিকায়। বয়সভিত্তিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটারদের আলাদা তালিকা থাকবে। প্রত্যেক পুল থেকে এক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ক্রিকেটাররা যাবেন। ক্রিকেটারদের জন্য থাকবে স্যালারি ক্যাপ। দ্বিতীয় বছর থেকে শুরু হবে অকশন।’

১০ বছরের জন্য এক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করবে সিএবি। ৩ বছর অন্তর চুক্তির মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ এক্সিট ক্লজ থাকছে তিন বছরের। সিএবির নির্বাচকরাই মার্কি ক্রিকেটারদের বেছে নেবেন। ক্রিকেটার এবং কোচ এখানকার হলেও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে বিদেশি মেন্টর রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =