ব্যাটিং বিপর্যয় কাটল না আরসিবির, ঘরের মাঠে টানা হার বিরাটদের

এ বারও হয়তো, ‘এ সালা কাপ নামদে’- বলেই থামতে হবে আরসিবি সমর্থকদের। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে স্মৃতিরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ‘এ সালা কাপ নামদু’ বলার সুযোগ হয়েছিল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এমন কিছুরই প্রত্যাশা ছিল। তবে মরসুমের প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তৃতীয় হারে প্রত্যাশা ক্রমশ হতাশায় বদলে যাচ্ছে। লিগের যদিও অনেক সময় বাকি। ম্যাচও হাতে রয়েছে। ধারাবাহিকতা নেই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পর ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ২৮ রানে হার বিরাটদের।

রান তাড়ায় সুবিধা হবে, এই প্রত্যাশায় টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। যদিও নিজেদের ভুলেই যেন টার্গেট বাড়তে দিলেন। ফিল্ডিংয়ে হতাশা আরসিবির। কুইন্টন ডিককের মতো প্লেয়ারের ক্যাচ ফেলা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে বুঝিয়ে দিলেন। মাত্র ৫৬ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস কুইন্টনের। স্পিনারদের বিরুদ্ধে একটু সমস্যায় পড়লেও এই ইনিংসে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন লখনউ ওপেনার।

গত ম্যাচে লোকেশ রাহুল নেতৃত্ব দেননি। তাঁর ফিটনেস নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। শুধুমাত্র ব্যাটিং করেছিলেন। চিন্নাস্বামীতে নেতৃত্ব দিলেন রাহুল। ব্যাটিংয়ে অবশ্য ভরসা দিতে পারেননি। তবে ডিককের পাশাপাশি শেষ দিকে সহ অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ২১ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস লখনউকে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে। আরসিবির টার্গেট ছিল ১৮২ রান। চিন্নাস্বামীতে এরকম রান তাড়া করে গত ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে সহজেই জিতেছিল কেকেআর। যদিও আরসিবি ব্যাটিং সেই ভরসা দিতে পারেননি।

গত সংস্করণেও দেখা গিয়েছে আরসিবি ব্যাটিং বিরাট-ডুপ্লেসির উপর অতি নির্ভরশীল। বিরাট, ডুপ্লেসির ব্যাটে বড় রান না আসায় ব্যাকফুটে চলে যায় আরসিবি। শেষ দিকে ১৩ বলে ৩৩ রানে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মহীপাল লোমরোর। ব্যবধান কমলেও টানা হার আটকাতে ব্যর্থ। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আরসিবি। ১৫৩ রানেই শেষ আরসিবি। লখনউয়ের গত ম্যাচের তারকা মায়াঙ্ক যাদব এই ম্যাচেও গতিতে বাজিমাত করলেন। মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 2 =