সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শুক্রবার হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালিকাণ্ডে এ বার অভিযোগ দায়ের হল আক্রান্ত ইডির বিরুদ্ধেই। ন্যাজাট থানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় মোট তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি খোদ ইডির বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি অভিযানে গিয়েছিল, সেই শাহজাহান শেখের বাড়ির এক কর্মচারী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি বসিরহাট (Basirhat) পুলিশ জেলার তরফে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এনিয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডে মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরেও অভিযোগটি ফরওয়ার্ড করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও এই ঘটনা নিয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি-ও। সূত্রের খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। কিন্তু বিনা নোটিসে কেন ইডি (ED)শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে পালটা ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে সব জেলাশাসককে ভার্চুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা।
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ”রাজ্যের কাউকে না জানিয়ে ইডি আধিকারিকরা ওখানে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন। আক্রান্ত হয়েছেন। সেইসময় আপনারা মেল করে সব জানাচ্ছেন। তাহলে কী করে প্রোটেকশন নেওয়া যাবে? আগে থেকে যদি আপনারা জানিয়ে দিতেন, তাহলে কিছুটা সামলানো যেত। তবে সবমিলিয়ে তদন্তকারীদের উপর হামলা একেবারেই কাম্য নয়।”