সকাল শুরু হোক স্মুদি দিয়ে, দিন হবে আপনারই

সুস্থ শরীর, ত্বকের জৌলুস, ঘন চুল আর নির্মেদ চেহারা, কে না চায়? এই সমস্তটাই সম্ভব যদি প্রাতরাশে থাকে এক গ্লাস স্মুদি।

ভাবছেন সেটা কী? স্মুদি হল স্মুথ পেস্ট। যা সবজি, ফল, দুধ, বাদাম ইচ্ছেমতো যা খুশি দিয়ে হতে পারে। তবে তার প্রত্যেকটা উপাদান হতে হবে পুষ্টিতে ভরা। দিনের শুরুতে আমরা অনেক সময় ব্রেকফাস্ট করি না। তার কারণ, এক অফিস, স্কুল বা বাইরে যাওয়ার তাড়াহুড়ো থাকে। কখনও ব্রেকফাস্ট বানানোর সময় থাকে না। কিন্তু স্মুদি এই সমস্ত সমস্যার সমাধান। এটা তরল বলে ঝট করে খাওয়া যায় আর সব উপকরণ মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিতে লাগে ২ মিনিট। চাইলে রাতে বানিয়ে কাচের শিশিতে রাতভর ফ্রিজেও রাখা যায়।

আমরা রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠি। ফলে খাবারের মাঝে অন্তত ৮-৯ ঘণ্টার ফাঁক থাকে। এতক্ষণ পেট খালি রাখা ঠিক নয়। তাই ব্রেকফাস্ট না করাটাও কাজের কথা নয়।

ওটস, কলা, খেঁজুর স্মুদি

ওটসে থাকে প্রোটিন ও ফাইবার। ওটস অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ওটস, কলা, খেঁজুর, ৩-৪টি আমন্ড, ফুটিয়ে ঠান্ডা করা দুধ বা দই দিয়ে স্মুথ পেস্ট বানিয়ে ফেলুন মিক্সিতে। দিতে পারেন ফ্ল্যাক্স সিড বা চিয়া সিড। এক গ্লাস খেয়ে নিন। পেট ভরা থাকলে আজেবাজে খাবারের ইচ্ছে চলে যাবে।এতে থাকা পুষ্টিগুণ কোলেস্টরল কমাতে, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এনার্জি জোগাতে সাহায্য করবে। সুষম খাবার মানে ত্বকও উজ্জ্বল হবে। ওটস ওজন কমাতে যথেষ্ট কার্যকর।

ওটস ম্যাঙ্গো স্মুদি-

রসে ভরা আম কে না খেতে ভালবাসে। আমে আছে ভিটামিন ও নানা ধরনের খনিজ। ক্যালোরি।ওটস, ফুটিয়ে ঠান্ডা করা দুধ, আম, খেঁজুর ও মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর মিশিয়ে দিন কুঁচি করে কাটা আম, আমন্ড ও আখরোট। হেলদি তো বটেই স্মুদি হবে টেস্টিও। বাচ্চাকেও এই ধরনের স্মুদি খাওয়ানোর অভ্যেস করুন।

তরমুজের স্মুদি

ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা তরমুজের টুকরো ও কলা নিন। একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। তরমুজের ৯২ শতাংশই জল। তাই তরমুজ বেশি দিলে জলের দরকার হবে না। এর সঙ্গে প্রয়োজনমতো বাদাম, আখরোট মিশিয়ে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fifteen =