ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৮০০টিরও বেশি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার। জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্টান্টিং এবং হাঁটু ইমপ্লান্টের খরচ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা সরকার নিশ্চিত করেছে।
সোমবার জন ঔষধি দিবসে (Janushodhi Diwas) নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সরকার ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৮০০টিরও বেশি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। স্টান্টিং এবং হাঁটু ইমপ্লান্টের খরচ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা সরকার নিশ্চিত করেছে।…মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনও এই কেন্দ্রগুলিতে ১ টাকায় পাওয়া যায়। ২১ কোটিরও বেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি, এটাই জানান দিচ্ছে যে জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি বিপুল সংখ্যক মহিলাদের জীবনকে সহজ করে তুলছে।’
জন ঔষধি কেন্দ্রের সুফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই আর্থিক বছরে, জন ঔষধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ওষুধ বিক্রি হয়েছে। এই বছর জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে, দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, জনগণের দ্বারা মোট প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে।’
পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে যখন ডাক্তারি ছাত্রদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তখনই টুইটারে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের (Private Medical College) অর্ধেক আসনে সরকারি হারেই ফিজ নেওয়া হবে। ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অত্যধিক খরচের জন্য বহু ছাত্রছাত্রী বিদেশে পড়তে যান। ইউক্রেনের ৩০ টি কলেজে প্রতি বছর পড়তে যান প্রায় ৪ হাজার ভারতীয় ছেলেমেয়ে। যুদ্ধের আগে ওই দেশে ভারতের ২০ হাজার ডাক্তারি ছাত্রছাত্রী ছিলেন।
ফেব্রুয়ারির শেষে মোদি বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে আবেদন করেন, তারা যেন ডাক্তারি শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় আকারে বিনিয়োগ করে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র নিয়ে এক ওয়েবিনারের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারগুলির জমি দেওয়া উচিত। তাহলে প্রতি বছর এদেশে বড় সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। আমাদের দেশের ছাত্ররা বিদেশে ডাক্তারি পড়তে গেলে দেশের শত শত কোটি টাকাও বিদেশে চলে যায়।