সামনেই মাধ্যমিক। তারপরেই উচ্চ মাধ্যমিক। সিবিএসই বা আইসিএসই, বোর্ড যাই হোক না কেন, দশম, দ্বাদশের পরীক্ষা মানেই মনে ভয়। বাড়তি চাপ। কারণ, পরীক্ষার্থীদের কাছে দশমেই শুরু প্রথম বোর্ডের পরীক্ষা।
হাতে মাত্র কটা দিন। তারপরই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। চিন্তা শুধু পড়ুয়াদের নয়, বাবা মায়েদেরও।কিন্তু এই সময় পরীক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।কীভাবে খেয়াল রাখবেন সন্তানের?
ঘুম, হাঁটা ও বিশ্রাম জরুরি- পরীক্ষার আগে ভালভাবে পড়াশোনা করতে হবে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য ঘুম, বিশ্রাম বাদ দিলে বড় ক্ষতি হতে পারে। কারণ, প্রস্তুতির পর পরীক্ষার হলে বা পরীক্ষার সময় পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুই করার থাকবে না। তাই সারা বছরের পড়াশোনাতেই জোর দিতে হবে। শেষ মুহূর্তে পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার সময় মানসিকভাবে সন্তানের পাশে থাকাটা খুব জরুরি বাবা-মায়ের। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার। দেখতে হবে, সেটা যেন ঠিকমতো হয়। যেহেতু পরীক্ষার সঙ্গে উদ্বেগও জড়িয়ে থাকে তাই মন ভাল রাখতে গান শোনা, ছবি আঁকা, কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা যার যা ভাল লাগে সেটা করতে দিতে হবে।
পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার- পরীক্ষার চিন্তা যেহেতু থাকে তাই এই সময় খাবার হজমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।পরীক্ষার আগে প্রোটিন সমৃদ্ধ, সুষম খাবার খাওয়ান সন্তানকে। বাইরের খাবার এই সময়টা না খাওয়াই ভাল। শরীর ভাল থাকে যাতে শাকসব্জি, ফল, আখরোট, আমন্ড এই সময়টা বিশেষ করে পরীক্ষার্থীদের ডায়েটে রাখুন।
সন্তানকে সাপোর্ট দিন- প্রথমবার অন্য স্কুলে গিয়ে এত বড় পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের মনে ভয় থাকাটা স্বাভাবিক। ছেলে-মেয়েকে বোঝাতে হবে, এটা শুধুই একটা পরীক্ষা। জীবনে কত পরীক্ষা আসে। কোনওটা ভাল হয়, কোনওটা খারাপ। তাই এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ভালভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিলেই হবে। ফল ভাল, খারাপ হতেই পারে। এ নিয়ে ভাবতে হবে না।
বকাবকি করবেন না-হতেই পারে কোনও একটা পরীক্ষা খারাপ হল। বা কোনও বিষয়ে আপনার সন্তানের ভীতি আছে। তাই একটা পরীক্ষা খারাপ হলেও তাকে একদম বকবেন না। বরং উত্সাহ দিন, বোঝান যাতে পরের পরীক্ষার আগে সে কোনওভাবেই আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে ফেলে।
প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ-বোর্ডের পরীক্ষার আগে কম, বেশি ভয় সকলেরই থাকে। সন্তানের দিকে খেয়াল রাখুন এই ভয় বাড়াবাড়ি রকম হয়ে উঠছে কিনা। অনেক ছেলেমেয়ে চাপ নিতে না পেরে পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। অনেকেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো মানসিকতাতে পৌঁছয়। তাই খেয়াল রাখুন এই সময়টা খুব বেশি। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নিন।