হাওড়া : অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে চিকিৎসা করার ঘটনায় শনিবার ধৃত ভুয়ো চিকিৎস বিনীত কুমার সিংকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। বিচারপতি তিন দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় এই ভুয়ো চিকিৎসককে। অপরদিকে ওই সেন্টারের মালিক অতনু মাইতিকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। তবে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ভুয়ো চিকিৎসক ঘটনার গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ।
ধৃত ভুয়ো চিকিৎসক কোথায় কোথায় এমবিবিএস পরিচয়ে চিকিৎসা করতেন, তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও অশোকতরু সেনগুপ্ত ছাড়া তিনি আর কোন কোন চিকিৎসকের রেজস্ট্রেশন ব্যবহার করতেন তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, শনিবার ভুয়ো চিকিৎসক কাণ্ডে বিনীত কুমার সিং ধরা পড়ে পুলিশের জালে। চিকিৎসক সেজে বছরের পর বছর ধরে অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে রমরমিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছিলেন ভি কে সিং নামে এই ভুয়ো চিকিৎসক।
হাওড়ার বাকসারা রোড এলাকার চন্দনা হেলথ সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকসহ বেশকিছু জায়গায় নিজের ওই জাল রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসা করছিলেন তিনি। সম্প্রতি, ডাঃ অশোকতরু সেনগুপ্ত নামে এক চিকিৎসক মেডিকেল কাউন্সিলে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। তিনি তার অভিযোগ পত্রে লেখেন, তার রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে ব্যাঁটরা থানাতেও। অশোকতরু বাবু বলেন, হঠাৎ এক রোগীর প্রেসক্রিশন মারফৎ তিনি খেয়াল করেন তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে অন্য একজন চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন লিখছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় স্থানীয় আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে কাজে বাধা দেয় এবং ধাক্কাধাক্কি করে সেন্টারের মালিক অতনু মাইতি। পরে সেন্টারের মালিকসহ অভিযুক্ত ডাক্তারকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি সেই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর কি ভাবে পেলেন তারও সূত্র খুঁজে বের করতে চাইছে পুলিশ। এর পেছনে অন্য কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তারও তদন্ত করে দেখা হবে বলে বি-গার্ডেন থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।