দিলীপ ঘোষ অভদ্র-অশিক্ষিত, পাগল, মন্তব্য কীর্তি আজাদের

নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: দিলীপ ঘোষ হলেন একজন অভদ্র এবং অশিক্ষিত মানুষ, তার ওপর তাঁর মাথা খারাপ, একজন পাগল মানুষের বিষয়ে বেশি মন্তব্য না করাই ভালো। বৃহস্পতিবার কাঁকসার গড় জঙ্গলে অবস্থিত শ্যামরূপার মন্দিরে পুজো দিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ করে এমনটাই মন্তব্য করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
এদিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকসার গড় জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত প্রাচীন শ্যামরূপার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে ভোটে জেতার লক্ষ্যে যজ্ঞ করেন তিনি। পুজোর শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, ‘দেবী অন্তর্যামী। তাঁর কাছে চাওয়ার কিছু নেহ,z তিনি তাঁর ভক্তের মনের কথা জানেন। দেবী জানেন তাঁর আসল ভক্ত কে। দেবীকে গালমন্দ করতেন মহিষাসুর। শেষে তাঁর কী, পরিণতি হয়েছিল তা বাংলার মানুষ জানে। মা দুর্গার হাতে তাঁকে বধ হতে হয়েছিল।’
দিলীপ ঘোষ কে মহিষাসুরের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলার মানুষ জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করে মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দেবে যেখান থেকে তিনি এসেছেন।’ বুধবার বর্ধমানে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান জেলায় দু’টি সভা করে উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরই মন্তব্যের প্রসঙ্গে কীর্তি আজাদ জানান, যে মানুষটার কথা বলার কোনও ধরন নেই, সেই মানুষ বিজেপি এবং আরএসএসের হয়। যারা মিথ্যে কথা বলে, হিন্দু ধর্মের নামে মানুষকে বোকা বানায়, তাদের উস্কানি দেয়, সেই ধরনের মানুষদের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। কারণ, যে পাগল হয় তাঁকে বারবার বুঝিয়ে কোনও লাভ হয় না।
যারা উন্নয়নের কথা বলে তাদের এটা ভাবা উচিত তারা যদি উন্নয়ন করে থাকত তা হলে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে বর্ধমানে আসতে হত না এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি সাংসদকে পুনরায় আসানসোলের প্রার্থী করা হওত না। আসলে এরা কোনও কাজ করতে পারে না এরা শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নবকুমার সামন্ত সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 19 =