নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: কাঁকসার গোপালপুরে তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাসকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন শম্ভু দাস ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস। দু’জনকে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃত দু’জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন মহকুমা আদালতের বিচারক। ধৃত শম্ভু দাসের দাবি, পবিত্র মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে মারতে যান। বাধা দিতে গিয়েই পবিত্রকে মারধর করা হয়েছে। পরে তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে কাঁকসার গোপালপুরে পবিত্র বিশ্বাস নামের এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠে এলাকারই বাসিন্দা শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে। শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে থেকে পবিত্র কে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার ভোরে পবিত্রর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গোপালপুর গ্রাম। গোপালপুরে উত্তেজিত বাসিন্দারা শম্ভু দাসের বাড়ি ভাঙচুর চালান এবং তাঁর বাড়ির সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত গোপালপুর গ্রাম।
বৃহস্পতিবার পবিত্র বিশ্বাসের মৃতদেহ শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে রেখে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় গ্রামবাসী। পুলিশের আশ্বাসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনায় দু’জনকে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় ওই দু’জন ছাড়া আর কেউ যুক্ত ছিল না বলেই দাবি করেছে ধৃত পূর্ণিমা দাস।
কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল জানিয়েছেন পবিত্রর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাঁকসার বাইরে থেকে তাদের গ্রেùপ্তার করা হয়েছে। আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তার তদন্তে ধৃতদের পুলিশ হেপাজত চেয়ে কোর্টে পেশ করা হয়েছে।