‘রাজনৈতিক পরিকল্পনা করেই ভোটের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্র। কেন সংশোধিত আইন পাশ হওয়ার পর তা লাগু করার জন্য চার বছর অপেক্ষা করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলায় কিছুতেই সিএএ চালু করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী সিএএ কার্যকর করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন এই খবর প্রচার হওয়ার পরেই বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্যে নতুন আইন কার্যকর হতে দেবেন কি না, নতুন আইনের বিধি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নিয়ে কোনও বৈষম্য করা হলে মানবেন না। এনআরসি-র নামে কাউকে নাগরিকত্ব বাতিল করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর চেষ্টা করলে কারও অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে নামবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘নির্বাচন এলে কিছু একটা খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওরা। ইতিমধ্যে কিছু সংবাদমাধ্যম দেখাতে শুরু করেছে, আজ রাতের মধ্যে নাকি সিএএ চালু হবে। আমার কথা হল, ২০২০ সালে সিএএ পাশ হয়েছিল। তার পর চার বছর লেগে গেল। আজ নির্বাচনের দু’তিন দিন আগে সিএএ চালু করার প্রয়োজন হল? আসলে এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আজ সিএএ করে বলে আপনি নাগরিক, সেই জন্য কি মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিলের চক্রান্ত হচ্ছিল? কিন্তু আমরা সবাই নাগরিক। বাংলা-সহ উত্তরপূর্ব ভারতে এটা সেনসিটিভ ইস্যু। এনিয়ে নতুন করে গোলমাল হোক আমরা চাই না। রমজান মাসের আগে কেন এই সিদ্ধান্ত সেটাও আমি জানি। ভয় পাবেন না চিন্তা করবেন না। কারো অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল কংগ্রেস আওয়াজ তুলবে।’