নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: ফের ধসের আতঙ্ক খনি অঞ্চল অণ্ডালে। এবার ধসের কবলে অণ্ডালের কাজরা ও কুষ্ঠ কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি ßুñলে।
উল্লেখ্য, এই অঞ্চলে ধসের ঘটনা আখছার ঘটে। তবে বেশিরভাগ ধসের ঘটনার খবর সামনে আসে বর্ষাকালেই। ইতিমধ্যে এখনই অণ্ডালের হরিশপুর এবং জামবাদ এলাকায় ধসের কারণে স্থানীয়রা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বারবার সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসনের দাবি জানালেও ইসিএল বা প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার ফের ধসের আতঙ্কে আতঙ্ক ছড়াল অন্ডালের কাজরা আর কুষ্ঠ কলোনি এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা পারুল ফুলমণি জানান, সোমবাপ বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর মেয়ে বাড়িতে চলাফেরা করার সময় হঠাৎ বাড়ির মেঝেতে তার পা ঢুকে যায়। আতঙ্কিত হয়ে মাকে ডাকে পারুলের মেয়ে।
ঘটনার খবর ছড়াতেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন অণ্ডাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় চক্রবর্তী এবং ইসিএলের আধিকারিকরা। রাত হয়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে স্থানীয় মানুষদের সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় ১২টি পরিবারকে এলাকার একটা ßুñলে সুরক্ষিত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয় প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা নাগাদ ইসিএল আধিকারিক ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এলাকা নিরীক্ষণ করা হয়। তারপরেই ওই পরিবারগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা হবে বলে জানান অণ্ডাল ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় চক্রবর্তী।
পাশাপাশি মলয়বাবু অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইসিএল এলাকায় কয়লা উত্তোলন করার পর সঠিক ভাবে উত্তোলিত কয়লার ফাঁকা স্থানে বালি প্যাকিং না করার কারণেই এই ধস হতে পারে। এই বিষয়ে কোনও ইসিএল আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ধসের আতঙ্ক রয়েছে গোটা এলাকায়।