রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী শোই সন হুই। দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধের ময়াদানে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর প্রতিটা হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে কিয়েভ। যা এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মস্কোর কাছে। তাই কি অস্ত্রের জন্য ফের ‘বন্ধু’ উত্তর কোরিয়ার শরণাপন্ন হয়েছে রাশিয়া?
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তার আগে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন শোই সন হুই। দুই মন্ত্রীর মধ্যে যা যা আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত রুশ প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়। তবে তাঁদের মধ্যে কী কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ক্রেমলিন।
অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী হুই জানিয়েছেন, এখন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা প্রায়শই দেখা করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এটা তারই প্রমাণ। দুই দেশের এই সম্পর্কের একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। হুইয়ের এই সফরের পরই কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ফের রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে কিমের দেশ?
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রুশ সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। বৈঠক করেছিলেন পুতিনের সঙ্গে। যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিম। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। এর আগেও কিমের দেশের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। গত অক্টোবর মাসেও হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, প্রায় হাজারের উপর সামরিক অস্ত্র বোঝাই কন্টেনার পিয়ংইয়ং থেকে মস্কোতে গিয়েছে।