হাওড়া : শুক্রবার, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্স থেকে লক্ষাধিক নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় উপেন্দ্র কুমার গুপ্তা (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি বিহারের রোহতাস জেলার কচাষ এলাকার বাসিন্দা বলে আরপিএফ সূত্রে খবর। রেলের বিশেষ ‘সতর্ক’ অপারেশনের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমানে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। অপর একটি অভিযানে ১৪ কেজি ওজনের রূপোর বাঁট উদ্ধার করে রেল পুলিশ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। ভারতীয় রেলের অপারেশন ”সতর্ক’-এর অধীনে বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয় নগদ অর্থ ও রূপোর বাট। আরপিএফের একটি বিশেষ টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুটি আলাদা বিশেষ অভিযানে মোট দুই জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সন্ধায় ১৭ নম্বর প্লাটফর্মে একটি ভারী ব্যাগ হাতে নিয়ে সন্দেহজনক এক ব্যাক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় রেল পুলিশের বিশেষ দল। তল্লাশিতে ওই ব্যাগ থেকে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে রেল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে সেই ব্যাক্তি উপেন্দ্র কুমার গুপ্তা জানায় তার পিতার নাম রামসকল গুপ্তা। তাদের রোহতাসে মন্টু এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি রেডিমেড জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। সে তার বাবার নির্দেশে জামাকাপড় কিনতে কলকাতা এসেছিল। অন্য একটি অভিযানে ১৯ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে রুপোর বাঁট ও নগদ টাকা। ধৃত ব্যক্তির নাম শংকর দয়াল সিং। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা জেলার ঝুমরিতিলাইয়া এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানায় সে স্কাই কিং কুরিয়ার কোম্পানির কর্মচারী। কোম্পানির মালিক তাকে বড় বাজারের সুভাষ বাজাজকে এই রূপো ও নগদ টাকা দিতে পাঠিয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই উদ্ধার হওয়া বস্তু ও নগদ টাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণপত্র তারা দেখাতে পারেনি। দু’জন কে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। পরে তাদের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।