দুর্গাপুর : নাবালিকাকে মোবাইলে অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠানো এবং অপহরণের হুমকি। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হল এক চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিকে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুর কোক-ওভেন থানার অন্তর্গত নডিহা গ্রামে। কোক-ওভেন কলোনীর বছর তেরোর এক নাবালিকাকে মোবাইল ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় মেসেজ করার অভিযোগ ওঠে এক চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি নডিহা গ্রামের বাসিন্দা। অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। নাবালিকার বাবার সঙ্গে ধৃত ব্যক্তির বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা যায়।
সেকারণেই অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল নাবালিকাদের বাড়িতে অভিযুক্তর। নাবালিকার মা জানান, বছর খানেক আগে প্রায়শই তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন ওই অভিযুক্ত। তখন থেকেই তাদের বাড়ির সকলের মোবাইল নম্বর জানত সে। তারপরই কোনো পারিবারিক কারণে তাদের বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয় ওই অভিযুক্ত। তারপর থেকেই মোবাইলে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে অশ্রাব্য ভাষায় মেসেজ পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত। এমনকি নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন ওই অভিযুক্ত।
ম্যাসেজের মাধ্যমে কুরুচিকর ভাষায় প্রায়শই নাবালিকাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। এমনকী নাবালিকাকে শাসানো হয়, যাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের একথা না জানায় সে। নচেৎ নাবালিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান নাবালিকার মা। ঘটনার কথা নাবালিকার মা জানতে পেরে অভিযুক্তকে ফোন করে ম্যাসেজ পাঠানো বন্ধ করার অনুরোধ করে। তাতেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান নাবালিকার মা। উল্টে জোটে মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি।
অবশেষে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় কোক-ওভেন থানায়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি দুর্গাপুর প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে কোকওভেন থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পকসো আইনের ধারায় শুক্রবার গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।