জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সুনাম বজায় রাখার দায়িত্ব থাকে তাঁদের কাঁধে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা কম নয়। তাই দেশের যে কোনও সমস্যায় তাঁদের সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত্। আর সেটাই এবার প্রমাণ করে দিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার ধামিকা প্রসাদ।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় এখন প্রবল দুঃসময় চলছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থাও জারি হতে পারে। এবার এই প্রতিবাদে শমিল হলেন শ্রীলঙ্কার সিনিয়র ক্রিকেটার ধামিকা প্রসাদ। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার ধামিকা প্রসাদ শুক্রবার তাঁর দেশের নেতাদের কাছে ইস্টার ডে-তে সন্ত্রাসী হামলা এবং বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের বিচার চেয়েছেন। ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রের জনগণের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন তিনি। ধামিকা প্রসাদ ২০১৯ সালের ইস্টার সানডে-তে জঙ্গি হামলার শিকারদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ করছেন। সেইসঙ্গে দেশের এমন আর্থিক পরিস্থিতি কী করে হল, তাও জানতে চেয়েছেন তাঁর দেশের বর্তমান সরকারের কাছে। তিনি রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের সচিবালয়ের কাছে গালে ফেস এসপ্ল্যান্ডে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একটি দলে যোগ দেন। প্রসাদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বোমা বিস্ফোরণের শিকার সকল নিরপরাধের বিচার চাই।’
প্রসাদের বয়স এখন ৩৯ বছর। ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে ২৫টি টেস্ট এবং ২৪টি ওয়ানডে খেলে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৩২টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার উপর ঋণের বোঝা ক্রমাগত বাড়ছে। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাত্র দুবছর আগেও শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির গতি ভারতের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। কিন্তু হঠাত্ করেই এই দুর্দশার কারণে পড়শি দেশ এখন দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে শ্রীলঙ্কা! জানেন না দেশের নেতারাও।