মাধ্যমিকে বসতে না পারায় প্রধান শিক্ষকের মুখে কালি, বিক্ষোভে উত্তাল নেতাজি শিক্ষায়তন

ব্যারাকপুর: মাধ্যমিকের (Madhyamik)অ্যাডমিট কার্ড  (Admit) না আসায়, পরীক্ষা দিতে পারল না আগরপাড়া নেতাজি শিক্ষায়তন হাইস্কুলের ১৩ জন ছাত্র। সোমবার চেষ্টা করেও, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি না পেয়ে এক ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে পুলিশের সামনেই প্রধান শিক্ষকের মুখে কালি লেপে দেওয়ার। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় খড়দা থানার পুলিশ।
নেতাজি শিক্ষায়তন হাইস্কুলের এ বছর মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল মহাজাতি বিদ্যাপীঠে। এদিন পরীক্ষার আগে আগরপাড়া নীলগঞ্জ রোডের মহাজাতি বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে আসে ওই ১৩ জন ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা। অ্যাডমিট কার্ড না থাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা পেয়ে মহাজাতি বিদ্যাপীঠের গেটে তারা বিক্ষোভ শুরু হয়। খড়দা থানার থানার পুলিশ স্কুলের গেট থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এদিকে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় বসতে না পেরে নেতাজি শিক্ষায়তনের এক ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নেতাজি শিক্ষায়তন স্কুলে। পরীক্ষা শেষ হতেই, ১৩ জন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, শিক্ষক রুমে ঢুকে প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের মারধর করা হয়। এমনকী, পুলিশের সামনেই প্রধান শিক্ষক স্বপনকুমার ঘোষের মুখে কালি লেপে দেন আত্মহ্যার চেষ্টাকারী ছাত্রের মা। বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
আত্মহ্যার চেষ্টা করা ছাত্রের মা জানান, ‘জীবনের প্রথম পরীক্ষায় ছেলে বসতে না পারায় হতাশ। তার জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁর অভিযোগ, ১৩জন ছাত্র অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক দায়ী। তবে প্রধান শিক্ষক স্বপনকুমার ঘোষের দাবি, এনরোলমেন্ট ফর্মে সই না করার জন্য ওই পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনও ফল মেলেনি। স্বপনবাবুর অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ হতেই তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এমনকী পুলিশের সামনেই তার মুখে কালি লেপে দিয়েছেন এক মহিলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 7 =