ইডেনে কেকেআর বনাম সানরাইজার্স একটা থ্রিলার দেখা গিয়েছিল। তবে গুজরাট টাইটান্স বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্য়াচে অনেক পার্থক্য। যে টিম রান ডিফেন্ড করছে, তাদের অধিনায়ক প্রথম বার ক্যাপ্টেন্সি করছেন এমন বড় মঞ্চে। আর উল্টোদিকে তারকা ক্যাপ্টেন। ম্যাচে ৯৯ শতাংশ সময় এগিয়ে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষে বাজিমাত শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্সের। মাত্র ৬ রানের জয়। থ্রিলারের চেয়েও আরও বেশি কিছু। এই একটা জয়ে যেন অনেক বার্তা।
গুজরাট টাইটান্সে একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়া চলে যাওয়ায়। খুব বেশি সময় নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তরুণ শুভমনকে ক্যাপ্টেন করা হয়। অনেকেই বলেছিলেন, ও কি পারবে? এমন ভাবনা আসাই স্বাভাবিক। সিনিয়র স্তরে নেতৃত্বের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ আইপিএলের ইতিহাসের সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জসপ্রীত বুমরার অনবদ্য বোলিং। গুজরাট টাইটান্সকে প্রবল চাপে রেখেছিল। শুভমন তরুণ হলেও তাঁর আশে পাশে যে অনেক ক্যাপ্টেন রয়েছেন। যাঁরা পদ নয়, টিম গেমে বিশ্বাসী। শেষ অবধি টিম গেমেরই জয় হল।
বুমরার অনবদ্য বোলিংয়ের সৌজন্যে মুম্বইয়ের টার্গেট ছিল মাত্র ১৬৯ রান। ঈশান কিষাণের উইকেট দ্রুত হারালেও মুম্বইকে ভরসা দেন হিট ম্যান রোহিত শর্মা। তরুণ ব্যাটার নমন ধীর ক্যামিও ইনিংস খেলেন। রোহিতের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন মুম্বইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। কিন্তু রোহিত শর্মা ফিরতেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে মুম্বই। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রানে থামে হার্দিকের টিম। স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং মোহিত, উমেশ এবং নতুন প্লেয়ার স্পেন্সর জনসনের।