রাজস্থান রয়্যালস আরও বড় স্কোর গড়তে পারতো। কিন্তু যশস্বীর সঙ্গে সেই অর্থে বড় কোনও জুটি গড়তে পারলেন না কেউই। ২৫ রান এসেছে এক্সট্রা থেকেই। রাজস্থানের ২১২ রানের মধ্যে এই এক্সট্রা ছাড়া যশস্বীর একারই অবদান ৬২ বলে ১২৪ রান। তাঁর কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল শতরানের সৌজন্যেই মুম্বইকে ২১৩ রানের লক্ষ্য দেয় রয়্যালস। মুম্বই বোলারদের মধ্যে পীযুষ চাওলা ২ উইকেট এবং এই ম্য়াচে ফেরা বাঁ হাতি পেসার আর্শাদ খান ৩ উইকেট নেন। বড় রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে রোহিত শর্মাকে ফেরান সন্দীপ শর্মা। তবে ম্যাচে তাঁর সেরা অবদান বিধ্বংসী মেজাজে থাকা সূর্যকুমার যাদবের উইকেট। মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতরান করেন স্কাই। সে সময় ম্যাচ মুম্বইয়ের নিয়ন্ত্রণেই। ১৬ তম ওভারে বোল্টের বলে ফেরেন স্কাই। ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস সূর্যর। তাঁকে ফেরাতে স্পেশাল ক্যাচ নিলেন সন্দীপ শর্মা। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্যাচ বলা যায়। শর্ট থার্ডম্যানে ছিলেন সন্দীপ শর্মা। তাঁকে সেরা ফিল্ডারদের তালিকায় ধরা হয় না কোনও দিনই। ট্রেন্ট বোল্টের অফ স্টাম্পের বাইরে বুকের উচ্চতার বল শর্ট থার্ড ম্যান ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন স্কাই। পেছন দিকে ১৯ মিটার দৌঁড়, ঝাপিয়ে ক্যাচ নেন সন্দীপ শর্মা। এই উইকেটের কৃতিত্ব বোলারের চেয়ে অনেক বেশি ফিল্ডারের। ক্রিজে তিলক ভার্মার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন টিম ডেভিড। শেষ ২ ওভারে মুম্বইয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২ রান। প্রথম ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সন্দীপ। ১৯তম ওভারে তাঁকে আনা হয়। এই ওভারে ১৫ রান আসে। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭ রান। বোলিংয়ে জেসন হোল্ডার। টিম ডেভিডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩ বল বাকি থাকতেই জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ ওভারে ছয়ের হ্যাটট্রিক টিমের। মাত্র ১৪ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন টিম ডেভিড। তিলক ভার্মা অপরাজিত ২১ বলে ২৯ রানে।