স্নান করতে গিয়ে এই ভুলগুলো করছেন না তো?

গরম মানেই স্বস্তি স্নানে। শুধু গরম থেকে আরাম নয়, স্নান শারীরিক ক্লান্তি থেকেও মুক্তি দেয় এক নিমেষে। শরীরের ধুলো-ময়লাও পরিষ্কার হয় স্নানে।

কিন্তু স্নান করতে গিয়ে কিছু ভুল করছেন না তো! স্নান করতে গিয়ে যে কাজগুলো আমরা অনেকেই করে ফেলি, অথচ সেটা না করা ভালো সে ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন যোগগুরু হংসরাজ যোগেন্দ্র।

খাওয়ার পরেই স্নান নয়: অনেক সময় আমরা খেয়ে স্নান করি। কিন্তু সেটা অনুচিত। কারণ, হংসরাজ যোগেন্দ্রর কথায় এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। পরিপাক পদ্ধতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। খাবার পর পরিপাক ক্রিয়া চালু হয়। শরীরে তাপ উত্পন্ন হয়। আয়ুর্বেদ মতে, যেটাকে জঠরাগ্নি বলে। স্নান করলে সেই তাপ তৈরির পর স্নান করার ফলে তাপ কমতে থাকে। যা পরিপাকে বাধা তৈরি করে ।যার জেরে খাবার হজমে সমস্যা হয়। যোগগুরুর পরামর্শ খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পরে স্নান করা উচিত। দিনের শুরুতেই স্নান করে তবে প্রাতঃরাশ করা উচিত।

স্নানের জলের তাপমাত্রা: স্নানের জলের তাপমাত্রা কেমন হবে, সেটা জরুরি। শীত মানেই লোকে গরম জলে স্নান করেন। আবার গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে আরাম হয়। কিন্তু যোগগুরুর মতে স্নানের জল হওয়া উচিত পরিবেশের সঙ্গে মানানসই। গরম বা ঠান্ডা কোনওটাই নয়। শীতে জল ঠান্ডা থাকলে ইষদুষ্ণ জল মেশানো যেতে পারে। গরমেও স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলেই স্নান করা দরকার। অতিরিক্ত গরম জল ত্বক শুষ্ক করে দেয়। চুলের জন্যও তা ক্ষতিকর। বিশেষত হাইপার টেনশন, হাই প্রেসারের রোগীদের অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার না করাই ভালো।

১০ মিনিটের বেশি স্নান নয়: অনেকেই আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা ধরে স্নান করেন। কিন্তু যোগগুরুর মতে ১০ মিনিটের চেয়ে বেশি স্নান খুব একটা ভালো নয়। বেশিক্ষণ জলে থাকলে ত্বক কুঁচকে যায়। বেশি জল ঢালতে থাকলে হেয়ার ফলিকল দুর্বল হয়ে চুল ঝরার সম্ভবনা থাকে। মোটামুটি ১০ মিনিট ভালোভাবে স্নান করাই যথেষ্ট।

রোজ চুলে শ্যাম্পু নয়: এ বিষয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে যোগগুরু হংসরাজের পরামর্শ রোজ চুলে শ্যাম্পু না করে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন করা যেতে পারে। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে মৃদু ক্যামিক্যাল ফ্রি শ্যাম্পু বেছে নেওয়াই ভালো। প্যারাবেন ও সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো।

পায়ের যত্ন- স্নান করতে গিয়ে যতটা যত্ন মুখ বা হাতের করা হয়, পায়ের যত্ন করি না। কিন্তু সারাদিন শরীরের সমস্ত ভার বহন করে পা। সবচেয়ে বেশি ধুলো, ময়লা লাগে পায়ে। পায়ের পাতার নীচেই রয়েছে একাধিক নার্ভ পয়েন্ট। সুতরাং রোজ পায়ের পাতার ময়লা পরিষ্কার করা, পিউমিক স্টোন দিয়ে স্ক্রাবিং ও হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করা খুব জরুরি। এতে শরীর আরও বেশি রিল্যাক্সড লাগবে।

ওয়ার্ক আউটের পরেই স্নান নয়: ওয়ার্ক আউটের পর প্রচণ্ড ঘাম হয়। গরমের ফলে অনেকেই দ্রুত স্নান করেন। কিন্তু যোগগুরু বলছেন সেটা ঠিক নয়। শরীরিক কসরতের পর হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়। শরীরে তাপও তৈরি হয়। তাই অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করে স্নান করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eleven =