জয় দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু ঋদ্ধিমানদের

ক্যাপ্টেনই শুধু নয়, মেন্টরও। ত্রিপুরা ক্রিকেট দলে বেশ কয়েকটি ভূমিকায় ঋদ্ধিমান সাহা। সব ভূমিকাতেই নজর কাড়ছেন। রঞ্জি ট্রফিতে মরসুমের প্রথম ম্যাচে ফুল পয়েন্ট তুলে নিল তাঁর দল। গোয়ার বিরুদ্ধে ২৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় দিয়ে এ বারের রঞ্জি অভিযান শুরু ত্রিপুরার। এই জয়ে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। আগামী আইপিএলের প্রস্তুতির জন্য ঋদ্ধির কাছে এটি সেরা মঞ্চও। আর শুরুটা ভালো হওয়ায় আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিল ঋদ্ধির দল।

ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ত্রিপুরা। ঋদ্ধিমান সাহা (৯৭) অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। শ্রীদাম পালের সেঞ্চুরি, গণেশ সতীশ, মুরা সিংয়ের হাফসেঞ্চুরি। ৪৮৪-র বিশাল স্কোরে ত্রিপুরার প্রথম ইনিংস শেষ হয়। জবাবে গোয়াকে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট করে ত্রিপুরা। ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মোহিত রেদকার। জবাবে প্রথম ইনিংসে গোয়াকে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট করে ত্রিপুরা। প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১-৩ স্কোরে ডিক্লেয়ার করেন ঋদ্ধিমান।

গোয়ার সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৫০১ রান। চতুর্থ ইনিংসে যে এক কথায় অসম্ভব। ব্লকাথন ইনিংসে অন্তত ১ পয়েন্ট নেওয়া যায় কিনা সেই চেষ্টাই করছিলেন গোয়ার ব্যাটাররা। তিন নম্বরে নামা কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ লক্ষ্যে সফল। ২৫৮ বল খেলে ১৫১ রান করেন তিনি। বাকিদের চেষ্টা অবশ্য সাফল্য পায়নি। ক্রিজে টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টা করলেও ত্রিপুরা বোলারদের ধৈর্যের কাছে হার মানতে হয়। অবশেষে ৯৭.২ ওভারে ২৬৩ রানেই শেষ গোয়ার ইনিংস।

মণিশঙ্কর মুরাসিং, রানা দত্ত তিনটি করে উইকেট নেন। ঋদ্ধিমানের মতো বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় যাওয়া বাঁ হাতি ব্যাটার সুদীপ চ্যাটার্জি হাত ঘোরান এবং ১টি উইকেটও নেন। ৯ বোলার ব্যবহার করে গোয়াকে অলআউট করতে সফল হয়েছে ত্রিপুরা। সরাসরি জয়ে ঋদ্ধিমানদের খাতায় ৬ পয়েন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − four =