চাঁদে গিয়ে থাকবেন? মহাকাশ নয়, পাড়ি দিতে হবে দুবাইয়ে

চন্দ্রালোকে শ্বেতশুভ্র পাহাড় চূড়া, কিম্বা জ্যোত্স্নায় ভেসে যাওয়া জঙ্গল।

চাঁদ, চাঁদের আলো বরবারই কবির কবিতা, প্রেমিকের উক্তিতে স্থান পেয়েছে। চাঁদ নিয়ে হয়েছে গবেষণাও। কথায় আছে আকাশের চাঁদ, যা শুধু দেখাই যায়। জ্যোত্স্না মায়াময় পরিবেশ তৈরি করে। তবে চাঁদকে কি ধরা ছোঁওয়া যায়। হ্যাঁ, বিজ্ঞান এগিয়েছে। চাঁদের বুকে পাও রেখেছে পৃথিবীবাসী। কিন্তু সে তো আর সাধারণ মানুষের জন্য নয়।

তবে এবার আকাশের চাঁদ নেমে আসবে পৃথিবীর মাটিতে। সেই চাঁদের বুকে শুধু ঘোরাই নয়, থাকাও যাবে। তবে তার জন্য খরচ করে দুবাই গেলেই হবে। কারণ, আরব আমিরশাহির এই শহরে তৈরি হতে চলেছে এমন একটি রিসর্ট, যা অবিকল চাঁদের মতোই দেখতে। নাম রাখা হয়েছে ‘মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্ট’ বা সংক্ষেপে ‘মুন রিসর্ট’। প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম।

পৃথিবীর ‘চাঁদ’ তৈরি করার দায়িত্ব পড়েছে কানাডার একটি নির্মাণকারী সংস্থার উপর। প্রকাণ্ড গোলকের মতো দেখতে এই স্থাপত্যের উচ্চতা হবে প্রায় ৯০০ ফুট। গোলক নির্মাণে ব্যবহৃত হবে কংক্রিট, স্টিল, কাচ, অ্যালুমিনিয়াম ও কার্বন ফাইবার। ভিতরে থাকবে বিলাসবহুল হোটেল, স্পা, কৃত্রিম লেগুন ও রেস্তরাঁর মতো হরেক রকমের বন্দোবস্ত। বিনোদন ও পর্যটনের বাইরেও থাকবে ‘স্কাই ভিলা’ নামের ৩০০টি আবাসনও। নির্মাতাদের দাবি, প্রতি বছরে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই গোলকের ভিতর।শুধু দেখতে নয়, পর্যটকরা যাতে সত্যিই মহাকাশ ভ্রমণের মতো অনুভূতি পান, তার জন্য ‘লুনার কলোনি’ বলে একটি বিশেষ রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছেন বলেও দাবি স্থপতিদের। সেখানে বছরে ২১ লক্ষ পর্যটক থাকতে পারবেন। মহাকাশযানের আদলে একটি বিশেষ যান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থা। প্রতি বছর এই রিসর্ট থেকে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা প্রশাসনের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 9 =