কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রাজস্থানে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। গেহলট বনাম পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস কী ধরাশায়ী হবে? প্রথা মেনে কী মরুরাজ্য এবার বেছে নেবে বিজেপিকে? এই সমস্ত উত্তর মিলবে ৩ ডিসেম্বর। এদিকে, জনতার কাছে দলে দলে এগিয়ে এসে ভোটদান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল সকাল এসে ভোট দিয়ে গিয়েছেন বসুন্ধরা রাজে।
মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৮৭৫। এদিন ভোটদান করবে ৫ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ১৪৬ জন ভোটার। মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৮৭৫। এর মধ্যে মহিলা প্রার্থী রয়েছেন ১৮৩ জন। মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৫১,৫০৭।
বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (ঝালারাপাটন) এবং প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (অম্বর)। বিধানসভা ভোটে সাত জন লোকসভা সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী, ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার, জালৌরের বিজেপি সাংসদ দেবজী প্যাটেল, আজমেরের ভগীরথ চৌধুরি এবং অলওয়ারের সাংসদ মহন্ত বালকনাথ। এ ছাড়াও, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রবীণ রাজ্যসভা সাংসদ কিরোরীলাল মিনাকে প্রার্থী করা হয়েছে সওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রে।
২০০ আসনের মধ্যে ১৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে এক দফাতেই। ম্যাজিক ফিগার ১০১। ৩ ডিসেম্বর হবে ফল প্রকাশ। ওইদিন একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনেরও ফল ঘোষণা হবে। করণপুর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী গুরমিত সিং কুনুরের মৃত্যুর কারণে এই আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ১৯৮৫ সালের বিধানসভা ভোটে রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল কংগ্রেস। তারপর থেকে প্রতিটি বিধানসভা ভোটেই নিয়ম করে সরকার বদলেছে মরুরাজ্য। সেই ‘রীতি’ মেনেই কি এবার বিজেপির পালা আসবে?