ব্যারাকপুর:মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু নববধূর। পাহাড়ের ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, দাবি স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে। আর এই মৃত্যু নিয়েই ঘনীভূত রহস্য।
শনিবার মধুচন্দ্রিমা সেরে ফেরার কথা ছিল। শুক্রবার দুপুরে ফোনে কথাও হয়েছিল মেয়ের সঙ্গে। তার ঠিক পরেই, এমন মর্মান্তিক খবর মেনে নিতে পারছে না আগরপাড়ার জয়িতা দাসের পরিবার। এর পিছনে কোনও রহস্য রয়েছে কি না, সেটাই জানতে চাইছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, এত বড় দুর্ঘটনার সময় জামাই কী করছিল?
আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডের বাই লেনের বাসিন্দা জয়িতা দাসের সঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দমদমের পাইক পাড়ার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের বিয়ে হয়। ৪ মার্চ হিমাচল প্রদেশে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই নববধূর আচমকা মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে কিন্নর থানা সূত্রে খবর আসে জয়িতা পাহাড় থেকে নীচে পড়ে গিয়েছেন। মৃতার পড়শি শুভাশিস রায় ও তাপস রাউত জানান, ওইদিন বেলা দুটোর সময় ভিডিও কলে তাঁর মায়ের সঙ্গে আধ ঘণ্টা কথা বলেছিল জয়িতা। তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছে জয়িতার পরিবার। শোকস্তব্ধ পাড়াও। মৃতের বাবা যাদব চন্দ্র দাস জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কিন্নর থানার ওসি ফোন করে বলেন, মেয়ে পাহাড় থেকে ৪০০-৫০০ফুট নীচে পড়ে গিয়েছে। খাদের খুব নীচে পড়ে যাওয়ার মেয়ের প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তাড়াতাড়ি সেখানে পৌঁছতে বলা হয়েছিল। জামাই জানায়, সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যাদববাবু জানান, বেলা দুটো নাগাদ মেয়ে ভিডিও কল করে ওঁর মা, দিদি ও বোনের সঙ্গে কথা বলেছে। তারপর এই খবর মানতে পারছেন না।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে মৃতের পরিবার। এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কিছু, সেটাই জানতে চাইছেন সকলে। সূত্রের খবর, কিন্নর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের স্বামী রাহুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।