পাঁচ-বারের চ্যাম্পিয়ন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সফলতম বা অন্যতম সফল দল বলা যায় চেন্নাই সুপার কিংসকে। এই মরসুমে ১৮ বছর পূর্ণ হল আইপিএলের। এতগুলি মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংস দল একাধিক কীর্তি অর্জন করেছে। তবে এর সঙ্গে রয়েছে লজ্জার ইতিহাসও। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৬-১৭ এই দুই মরসুমে সিএসকেকে আইপিএল থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এই রকম ভালো-মন্দ মিশিয়ে এত বছর ধরে আইপিএলে নিজেদের ছাপ ফেলে এসেছে সিএসকে। এই মরসুমেও এক লজ্জার ইতিহাসের পরিস্থিতিতে।
আইপিএলের ইতিহাসে চেন্নাইয়ের কাছে সব থেকে হতাশার মরসুম এবারই। মরসুমের শুরু থেকেই দলে বিপর্যয়ের ছাপ স্পষ্ট। ব্যাটিং, বোলিং থেকে শুরু করে দলের ফিল্ডিং সবেতেই তথৈবচ অবস্থা। মাঝপথে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় হাতের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন। এরপরই অধিনায়কের দায়িত্বে ফিরেছিলেন ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতেও বিরাট কিছুই হয়নি। অকশনে দল বাছাই নিয়ে যে ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, সেকথাও স্বীকার করে নিয়েছে চেন্নাই শিবির। মাঝপথে এবং লিগের শেষ দিকে বেশ কয়েকজনকে তরুণ ক্রিকেটারকে সই করিয়েছে তারা। ভবিষ্যতের কথা ভাবলে, ঠিক পথেই রয়েছে। যদিও এ বারের মরসুমে আর কিছু বদলানোর পরিস্থিতি নেই।
লিগ পর্বে আরও একটি ম্যাচ বাকি চেন্নাইয়ের। ১৩ ম্যাচে সিএসকের মাত্র ৬ পয়েন্ট। লিগ টেবলের সকলের শেষে রয়েছে চেন্নাই। এক ম্যাচ বাকি থাকলেও পয়েন্ট টেবলে উন্নতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জিতলে পয়েন্টের দিক থেকে রাজস্থানকে ছুঁতে পারবে তারা। কিন্তু নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম চেন্নাই সুপার কিংস লিগ টেবলের একদম শেষে। এর আগে ২০২২ সালে নবম স্থানে ও ২০২০ সালে সপ্তম (তখন ৮ দলের টুর্নামেন্ট ছিল) স্থানে শেষ করেছিল। কিন্তু লাস্ট বয় কখনোই হয়নি।