নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: দেবত্ব পুকুর। তাই সেখানে নাকি সোনার গয়না রয়েছে, এতদিন এমনটাই ধারণা ছিল ভাতারের কামারপুকুরের মানুষের। ফলে ভাতারের কামারপাড়ায় মুঘল আমলের পুকুরে জল শুকিয়েযেতেই এলাকার মানুষজনের সোনার গয়না খোঁজার হিড়িক! এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কামারপাড়ায় রয়েছে মুঘল আমলের একটি পুকুর। যে পুকুরটি দেবত্ব পুকুর হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৮২৫ সালে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য পুনরায় খনন করেন কামারপাড়া রানি আরম্বা রানি সুন্দরী। এ যাবৎ পুকুরের জল কখনও শুকোয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের। তাঁদের দাবি, বেশ কয়েকবার ওই পুকুরের জল শুকনোর চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয়রা। তবে সেই জল কখনও শুকিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি। টানা ১৬ দিনের চেষ্টায় সেই পুকুরের জল এদিন শুকিয়ে গেল।
আর মঙ্গলবার একটা ত্রিশ মিনিটে পুকুরের জল শুকোতেই এলাকার মানুষ অবাক হয়েছেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষজনেদর সোনার গয়না খোজার হিড়িক পড়ে গেল পুকুর চত্বরে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, পুকুরটি ছিল দেবত্ব, তাই বহু মানুষ এই পুকুরে মানত স্বরূপ সোনার গয়না ফেলতেন বলে দাবি। তবে এলাকার একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র সোনার জিনিস পেয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। বর্তমানে এই পুকুরের মালিক রয়েছেন দেবু রায়।