নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: মঙ্গলবার সকালে খেলাধুলো নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। হকি স্টিক নয়, হকি-ফুটবল-ক্রিকেট পশ্চিমবাংলার খেলাধুলো তো রসাতলে গিয়েছে, খেলাধুলোর পরিবর্তন দরকার আছে, খেলাধুলোর উত্থানের দরকার আছে, খেলার পরিবেশের দরকার আছে এখানে তো খালি একটাই কাটমানি খেলা চলছে। সে জন্য আমরা খেলাধুলোকে প্রোমোট করতে চাইছি। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের ইয়ুথ ক্লাবের ময়দানে প্রাতর্ভ্রমণ সারলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
এদিন মাঠে দলীয় কর্মীরা হকি স্টিক হাতে তুলে দিলেন দিলীপবাবুর। এদিন প্রাতর্ভ্রমণ শেষ করে পুলিশলাইন বাজার এলাকায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন। ভোটের মুখে হাওড়ায় শাসকের শাসানি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ‘এরা সবকটা গুন্ডা নেতাকে হারাবে যারা সমাজবিরোধী তারা আজকে নেতা হয়ে গিয়েছে। তারা লুঠপাট ছাড়া কিছু বোঝে না। একেকটা করে ধরা হচ্ছে ভেতরে যাবে। মমতা ব¨্যােপাধ্যায় চাকরি বিক্রি করেন, নরেন্দ্র মোদি চাকরি বিলিয়ে দেন। মেলা করে চাকরি দিয়েছিলাম। নরেন্দ্র মোদি প্রতি মাসে ৩০০-৪০০ চাকরি দিচ্ছেন বেকার ছেলেমেয়েদেরকে। কিন্তু এই চাকরি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেû। কোনও ঘুষ দিয়ে চাকরি নয়।’
মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড়ে বর্ধমান জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চায় মিলিত হয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘এরাজ্যে শিক্ষা, কয়লা, চাল চুরি হয়েছে চুরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী জেলে, শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ নেতারাই এখন জেলে রয়েছেন, জেলে রয়েছেন চাল চুরির নেপথ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শিক্ষা চুরির নেপথ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোরু চুরির নেপথ্যে অনুব্রত মণ্ডল। তা হলে এই রাজ্যের হবেটা কী, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ফ্রি, জল ফ্রি জলের লাইন আছে, তো জল নেই রাজ্য করছেটা কি’ সারাটা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে, কী করে রাজ্য চালাচ্ছেন দিদিমণি। এখন যেখানেই সভা করতে যাই না কেন সেখানেই একটা কথাই শুনতে পাই, কর্মীদেরকে তৃণমূল নেতা কর্মীরা চমকেছে। তবে একটা কথা বলে যাই ১৩ তারিখের পর কাউকে চমকানো যাবে না। ১৩ তারিখের পর তৃণমূল নেতাকর্মীরা একটাই গান গাইবেন ‘পরদেশি পরদেশি জানা নেহি মুঝে ছোড়কে’ শুধু সন্দেশখালি নয়, বর্ধমানের মহিলারাও হাতে যেমন চুরি পরতে পারেন, তেমন হাতে খর্গ এবং লাঠিও ধরতে পারেন।’