কলকাতা:নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরোধিতায় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশন সমূহ। ‘জনগণকে বাঁচাও এবং জাতিকে বাঁচাও’ এই কর্মসূচিতে ১২ দফা দাবিতে আগামী সোম এবং মঙ্গলবার ভারত বন্ধের (Bharat Bandh) ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বন্ধ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে জারি কড়া নির্দেশিকায় শনিবার জানিয়ে দেওয়া হল, ২৮, ২৯ মার্চ খোলা থাকবে অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ। নির্দিষ্ট ওই ২ দিন সরকারি কর্মচারীদের কোনও ছুটি মঞ্জুর নয়। অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন ও কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ যাবে।
দেশের শ্রম কোড বাতিল, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক যারা পিএফ সুবিধার আওতায় নেই তাঁদেরকে সেই তালিকাভুক্ত করা, করোনাকালে কাজ হারানো পরিযায়ী শর্মিকদের জন্য আর্থিক সাহায্য থেকে দেশজুড়ে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ একাধিক ইস্যু সামনে রেখে ২৮ মার্চ থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশজোড়া ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। আর তা নিয়েই বনধ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। নির্দিষ্ট ওই ২ দিন সরকারি কর্মচারীদের কোনও ছুটি মঞ্জুর না করার পাশাপাশি অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন ও কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় রয়েছে।
নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি থাকার থেকে, বাড়ির কোনও সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, আগে থেকে দীর্ঘ অসুস্থতার জেরে নেওয়া ছুটির ক্ষেত্রে, চাইল্ড কেয়ার লিভ, র্রসবকালীন ছুটি ও বাকি অন্য যে কোনও ছুটি যা ২৫ মার্চের আগে থেকে নেওয়া রয়েছে, সেইসব ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা লাগু হবে না। যদিও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের আগে থেকে নেওয়া ছুটি ছাড়া যদি কোনও সরকারি বা সরকার পোষিত সংস্থার কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁদেরকে পাঠানো হবে শো-কজ নোটিস। সেই নোটিসের উত্তর যদি প্রত্যাশামতো না হয় সেক্ষেত্রে কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা যাবে এবং কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একটি দিন।