মাস্টার ব্লাস্টারের একদিনের ক্রিকেটে শতরানের রেকর্ড ভেঙেছেন রানমেশিন বিরাট কোহলি। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের হাউসফুল গ্যালারি দেখেছে বিরাট তাণ্ডব। যাঁরা স্টেডিয়ামে ছিলেন না, এক মিনিটের জন্যও চোখ ফেরাননি টেলিভিশন, মোবাইলের পর্দা থেকে। লকি ফার্গুসনের বলে ২ রান নিয়েই বিরাটের শূন্যে সেই লাফ… এই ছবি আজীবন ক্রিকেট প্রেমীদের মনে গাঁথা থাকবে। কিং কোহলির ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে ৫০তম শতরান সামনে থেকে দেখেছেন সচিন তেন্ডুলকর। বিরাট ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতাও প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি। কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ চর্চা, সচিনের রেকর্ড ভাঙার লোভ সামলাতে না পেরে কি সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে স্লো ব্যাটিং করেছেন বিরাট?
সচিন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনন্য জায়গা তৈরি করে নিলেন। বিরাটকে নিয়ে বন্দনা চলছে। তিনি যে ভারতকে তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জেতাবেন, এই স্বপ্ন সকলে দেখছেন। কিন্তু এরই মাঝে বিরাট একটা সমালোচনার জায়গাতেও থেকে যাচ্ছেন। কোহলি ওডিআইতে ৫০তম সেঞ্চুরির পর আবার এই প্রশ্ন উঠছে যে, বিরাট কি স্লো ব্যাটিং করলেন? সেঞ্চুরির লক্ষ্যে বিরাটের ব্যাটিং কি খানিকটা মন্থর গতির হয়ে গিয়েছিল? যদি ওই সময় বিরাট আউট হয়ে যেতেন, কিংবা নিউজিল্যান্ড যদি ওই সময় ভারতের উপর চাপ রাখতে পারত, তা হলে টার্গেট হয়তো ১০-১৫ রান কমও হতে পারত। আর সেটা হলে ম্যাচটা ভারতের মুঠো থেকে বেরিয়েও যেতে পারত।
কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন বিরাট। এরপর তিনি ৮৪ বলে পৌঁছে যান ৮০ রানে। ১০০ বলের মুখোমুখি হয়ে বিরাট পৌঁছে যান ৯৩ রানে। এরপর সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে কোহলির লাগে আরও ৫টি বল। ১০৫ বলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছান বিরাট। তিনি যে সেঞ্চুরি করুন, তা সকল বিরাট প্রেমী ও ভারতের সমর্থকরা চাইছিলেন। তিনি নিজেও প্রবল ভাবে এই শতরান চাইছিলেন। তাই তাঁকে দেখে যে কেউ বলতেই পারেন, বিরাট মরিয়া হয়ে উঠেছিল ৫০তম শতরান নিজের নামে করার জন্য। এর আগে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, ইডেনে বিরাটের ইনিংস দেখে মুগ্ধ সকলে ঠিকই। কিন্তু তাঁর মনে হয়েছে বিরাট খানিকটা স্লো ব্যাটিং করেছিলেন। কারণ তিনি সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাই আর ঝুঁকি না নিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছিলেন। অবশ্য বিরাটের স্লো ব্যাটিং নিয়ে গম্ভীর প্রশ্ন তুললেও, সেই অর্থে এই নিয়ে আলোচনা শোনা যায়নি ক্রিকেট মহলে। ইডেনে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ জিতেছিল ভারত। আর মায়ানগরীতেও কিউয়িদের বিরুদ্ধে জিতল ভারত।