মুম্বই এবং ৪২তম রঞ্জি ট্রফির অপেক্ষা বাড়ছেই। বিদর্ভকে বিশাল রানের লক্ষ্য দিয়েছে মুম্বই। প্রথম ইনিংসে বিদর্ভ ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৪৫.৩ ওভার। সুতরাং, মনে করা হয়েছিল চতুর্থ দিনই ট্রফি হাতে তুলবে মুম্বই। তবে ভাঙবো তবু মচকাবো না মানসিকতায়, মুম্বইকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করল বিদর্ভ। চতুর্থ দিনটা পুরো ওভার ব্যাট করল তারা। ম্যাচের এখনও একদিন বাকি। যা হওয়ার পঞ্চম দিনই হবে।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৪ রান করেছিল মুম্বই। ফাইনালের মঞ্চে জ্বলে ওঠেন শার্দূল ঠাকুর। শেষ দিকে তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই প্রথম ইনিংসে এই রান করে মুম্বই। বোলারদের দাপটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুম্বইয়ের হাতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে মুশির খানের অনবদ্য সেঞ্চুরি। শ্রেয়স আইয়ার (৯৫), শামস মুলানি (৫০) হাফসেঞ্চুরি করেন। বিদর্ভকে ৫৩৮ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট দিয়েছে মুম্বই।
ম্যাচের চতুর্থ দিন মুম্বই ১০ উইকেটের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এল মাত্র পাঁচ উইকেট। সারাদিন ব্যাট করল বিদর্ভ। ৪২ তম ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে যা অস্বস্তি বাড়াল মুম্বইয়ের। বিদর্ভ ইনিংসে আলাদা করে বলতে হয় অভিজ্ঞ করুণ নায়ারের কথা। ডিআরএসে জীবন পেয়েছিলেন। ২২০টি ডেলিভারি খেলেন করুণ নায়ারই। অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে মুম্বইয়ে কিছুটা স্বস্তি দেন তরুণ সেঞ্চুরিয়ন মুশির খান। ২২০ বলে ৭৪ রান করেন করুণ নায়ার। চতুর্থ দিনের শেষে ৫ উইকেটে ২৪৮ রান তুলেছে বিদর্ভ।
চতুর্থ দিনের শেষে বিদর্ভ অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদকার ৫৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন। বিদর্ভের চাই আরও ২৯০ রান। পঞ্চম দিনের পিচে যা অসম্ভব। কিন্তু বিদর্ভ যদি পঞ্চম দিনও পুরো ব্যাট করে! ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্যে চ্যাম্পিয়ন হবে মুম্বই। আর বিদর্ভ যদি অবিশ্বাস্য বা কোনও মিরাকল ঘটায়!