ছোটা বাচ্চা জানকে হমকো না টকরানা রে! এ যেন এমনই পরিস্থিতি। উল্টোদিকে মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, রশিদ খান, করিম জানাতের মতো অভিজ্ঞ সব বোলার। তাঁদের হেলায় বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারছেন মাত্র ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী! হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ১৭ বলে। তাতেই দমেননি। তাঁর সামনে সেঞ্চুরির সুযোগও চলে আসে। এবং সেটা পূরণও করেন। মাত্র ৩৫ বলে এক বাচ্চা ছেলের সেঞ্চুরি। রাজস্থান রয়্যালসের কোচ রাহুল দ্রাবিড় দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন, আর কী চাই!
আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলের। তিনি ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইউসুফ পাঠানের। ছিল এ কারণেই লিখতে হচ্ছে, সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বৈভব। ইউসুফ পাঠান ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। বৈভব করলেন মাত্র ৩৫ বলে। ইউনিভার্স বস থেকে সাইমন কাটিচ বৈভবের নাম দিয়েছেন বস বেবি!
মাত্র ১৪ বছরের বৈভবকে সামলাতে হিমসিম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। অবশেষে দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে তাঁকে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ। ৩৮ বলে ১০১ রানে ফেরেন বৈভব। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৭টি! আর ছয় মেরেছেন ১১টি। পিঙ্ক সিটি প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠেছে জয়পুর। বিধ্বংসী ইনিংসের ইতি হলেও বৈভবকে নিয়ে মুগ্ধতা রয়ে গিয়েছে। তিনি মাঠ ছাড়ার সময় স্ট্যান্ডিং অবেশন দেয় গ্যালারির সমস্ত দর্শক।