কলকাতা : আন্দোলনকারী ও চাকরিহারা শিক্ষক সুবল সরেনের মৃত্যু হয়েছে। যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ সূত্রেই শুক্রবার সকালে তা জানা গিয়েছে। এদিন পৌনে আটটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যদিও সাড়ে আটটায় চিকিৎসকরা সর্বশেষ খবর দেন এ যাত্রায় মৃত্যুর সঙ্গেই লড়াইয়ে হার মেনেছেন সুবল সরেন। ই এম বাইপাসের ধারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ব্রেন হ্যামারেজ ধরা পড়ে। চলছিল চিকিৎসা। শেষপর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো গেল না। উল্লেখ্য, এর আগে সে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ২০১৬ তে সফলভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সসম্মানে ওই পদে চাকরিও করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধাননগরে বিকাশ ভবনের সামনেই মেট্রো স্টেশন লাগোয়া চাকরিহারাদের অস্থায়ী মঞ্চের অতি পরিচিত মুখ ছিলেন। একযোগেই লালগড়ে শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। সাম্প্রতিক কালে “দিল্লি চলো” – চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে রাজধানীতে অভিযানেও সে উপজাতি গোষ্ঠীর অন্তভুক্ত হয়েও সেই দাবি আদায়ে যোগদান করেন।তাঁর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চাকরিহারারা।
চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ ছিল সুবলের। নিয়মিত ওষুধ খেতেন না তিনি। সেই কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করার পরও তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। মৃতের স্ত্রীর দাবি, চাকরি হারানোর পর থেকেই উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন সুবল, ওষুধও খেতে চাইতেন না। গত সোমবার আচমকা বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ঘটনার পর চাকরিহারা শিক্ষকরা একে একে এসে পৌঁছেচ্ছেন হাসপাতালে। পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সুবলের মৃত্যুর জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন তাঁরা।

