ট্যাটু নিয়ে বিড়ম্বনা!
আধা সেনার চাকরি পেতে, ডান হাতে করা ট্যাটু অপারেশন করে মুছেও হচ্ছে না লাভ। চাকরি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রসেনজিৎ দাস নামে এক যুবক।
একসময়ে যা ছিল উল্কি, এখন তা- মর্ডান ট্যাটুর চেহারা নিয়েছে। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ শরীরের নানা স্থানে পছ¨ের নানা নকশা বা লেখা খোদাই করছেন। ট্যাটু এখন হাল ফ্যাশন। এদিকে সেই ফ্যাশনের জেরেই আধাসেনার চাকরি থেকে বাতিল হতে চলেছেন শহরের এক যুবক। নিয়মেই আছে, শরীরে, বিশেষত ডানহাতের কোনও অংশে ট্যাটু থাকলে আধাসেনার চাকরি মিলবে না। কিন্তু শরীরে আঁকা ট্যাটু যদি মুছে ফেলা হয়, তাহলেও কি একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে? সেক্ষেত্রেও চাকরি বাতিল হতে পারে যদি ট্যাটু মুছে ফেলার পর তার দাগ থেকে যায়। আর ঠিক এই নিয়মের গেরোতেই আটকে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ দাস নামের এক যুবক। চাকরির আবেদনের পর ডাক পড়লেও এখন সেখান থেকে প্রায় বাতিল হওয়ার মুখে তিনি। আর এরপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রসেনজিৎ।
জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে ডান হাতে একটি ট্যাটু করেছিলেন ওই যুবক। পরে আধাসেনায় (সিএপিএফ) চাকরির আবেদন জানান। সেখান থেকে ডাক আসতেই অপারেশন করে ট্যাটু মুছে ফেলেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু তাতেও কোনও লাভের লাভ হয়নি। কারণ ট্যাটু না থাকলেও তার দাগটি রয়েই গিয়েছে প্রসেনজিতের স্যালুটিং আর্ম অর্থাৎ ডানহাতে। আর এই কারণেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে চাকরির দাবি বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই হাইকোর্টে গিয়ে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন প্রসেনজিৎ।
গত সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। গোটা বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী দেবাশিস কুণ্ডু। পাল্টা সওয়ালে আধাসেনার আইনজীবী অজিতকুমার মিশ্র জানান, ট্যাটু মুছে দেওয়া হলেও তার দাগ এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ওই যুবককে একটা শেষ সুযোগ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি বলেছেন, ট্যাটু মুছে ফেলার ওই দাগ চাকরির ক্ষেত্রে সত্যিই বাধা কিনা, তা খতিয়ে দেখে কমান্ড হাসপাতালকে রিপোর্ট দিতে হবে। ১১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।