নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ভোট চাইতে এলে জঙ্গলমহলের মহিলার উদ্দেশে বিজেপি প্রার্থীকে জুতো আর ঝাঁটা ™েটা করে জেলার বাইরে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি সহ চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী শম্পা পণ্ডিত। এমনকী, তাঁর দাবি, গত পাঁচ বছরে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াননি সুভাষ সরকার। করোনা বা আয়লা ঝড়ের সময় এলাকার মানুষের কাছে তিনি কী ভাবে পৌঁছেছিলেন বা তাঁর কর্মীদের কী ভাবে পৌঁছে দিয়েছিলেন এই জবাব দিতে হবে বলে দাবি করেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে পালটা আক্রমণ করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, জেলার জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ বিরষা বাজার এলাকায় তৃণমূলের জনগর্জন সভার একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এবং ব্লক সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। পরে ওই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বর্তমান রানিবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও প্রাক্তন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেত্রী শম্পা পণ্ডিত বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াননি সাংসদ থাকাকালীন সুভাষ সরকার। এমনকি করোনা ও আয়লা ঝড়ের সময়ও তাঁকে পাশে পায়নি এলাকার মানুষ। আবার তিনি প্রার্থী হয়ে এখন ভোট চাইতে আসছেন। তাই এখন তাঁকে ওই গত পাঁচ বছর মানুষের জন্য তিনি কী করেছেন তার জবাব দিতে হবে।’ আর জবাব দিতে না পারলে জঙ্গলমহলের মা-বোনেরা জুতো ও ঝাঁটা পেটা করে সুভাষ সরকারকে জেলার বাইরে ফেলে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি আরও বলেন, ‘বিজেপি মানুষের সম্মান নিয়ে খেলছে ও শোষণ করছে যদি তারা যুক্তি দিয়ে বলতে পারে মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছেন, তবেই ভোট চাইতে আসবেন, না হলে চুড়ি পরে বাড়িতে বসে থাকবেন।’ একদম জেলায় ঘোরাফেরা না করার স্পষ্ট বার্তা দেন সাংসদ সুভাষ সরকারকে এই তৃণমূল নেত্রী।
অন্যদিকে এই তৃণমূল নেত্রীর আক্রমণের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার দাস জানান, যেমন ঝাঁড় তার তেমনই বাঁশ। যে দলের যেমন নেত্রী সেই দলের তেমন নেতা বা নেত্রী হবে এটাই স্বাভাবিক। তাঁরা প্রত্যেকে কোনও না কোনও চুরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত। আর এখন মুখে বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছেন। আর জুতো আর ঝাঁটা কে খাবে লোকসভা ভোটের পরেই জানতে পারবেন। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রস্তুত আছে।