■ রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে একজন মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা এবং হাসপাতালে দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য জওহর সরকার রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ এবং রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখে তিনি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছেন।
জওহর সরকারই প্রথম নেতা নন যিনি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। এর আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রাইও এই বিষয়ে দলের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু, প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তার চিঠিতে জওহর সরকার বলেছেন, “আমি গত এক মাস ধরে আরজি কর হাসপাতালের জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি এবং ভাবছি কেন আপনি বৃদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে সরাসরি কথা বলছেন না? . এখন সরকারের পক্ষ থেকে যত সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেগুলো খুব কম এবং দেরিতে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে বাম ও বিজেপি সমর্থিত বলে বর্ণনা করেছিলেন। একই পথ অনুসরণ করে তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। এই প্রবণতার নিন্দা করে জওহর সরকার লিখেছেন যে এই আন্দোলনের সাথে জড়িত লোকেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছে। তাই এই আন্দোলনের ওপর রাজনৈতিক তকমা লাগানো ঠিক হবে না। এই লোকেরা রাজনীতি পছন্দ করে না। তারা শুধু বিচার ও শাস্তি দাবি করছে।
জওহর সরকারের এই পদক্ষেপের পরে, তৃণমূল কংগ্রেসে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, যা আগামী দিনে দলের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।