নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: তৃণমূল চুরি করে ফেঁসে যায়। আবার সুপ্রিম কোর্টে যায়, কান মোলা খায় আর বাড়ি চলে আসে, আমাদের আস্থা আছে কোর্টের ওপর। দেখা যাক, কোর্ট কী বলে। সোমবার বর্ধমান শহরের কালিবাজার আমতলা থেকে প্রাতর্ভ্রমণ শেষ করে কালিবাজার দুর্গামন্দিরে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে এসএসসি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
তারপর বর্ধমান উত্তর বিধানসভার রায়ান দুই অঞ্চলে খড়িদ্যা রক্ষা কালীমন্দির দর্শন করে রায়পুর মোড় থেকে ভিটা দাসপাড়ায় রোড শো করেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। রবিবার বর্ধমান শহরে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনে আপনার হাতে লাঠি তুলে দেন দলীয় কর্মীরা, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এত চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ বেড়েছে তাদের তাড়ানোর দায়িত্ব তো কাউকে দিতে হবে। মানুষ ভরসা করে আমাকে লাঠি দিয়েছেন। শুধু লাঠি কেন, আমাকে গদা দিচ্ছে, কখনও আবার ত্রিশুল দিচ্ছে, আমার হাতে বোধহয় এইগুলো শোভা পায়। সেই জন্য আমাকে দেন মাঝেমধ্যে, বাকিদের হাতে তো বান্ডিল দিয়ে দেন।’
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ভোটের দিন কি লাঠির প্রয়োজন হবে? প্রত্যুত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভোটের দিন হয়তো সেই সবের দরকার হবে না, বর্ধমানের মানুষ যথেষ্ট জাগ্রত তাঁরাই সব ঠিকঠাক করবেন।’ পশ্চিমবাংলা থেকে মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সেখানে কোন আইন-কানুন নিয়ম নীতি কিছুই নেই। বোমা বন্দুক সব ওইখানে। যত ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি সব মুর্শিদাবাদে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদকে মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে।’