মেদিনীপুর: আলু খেতে চাষিদের আলু তুলতে দেখে তাঁদের সঙ্গে হাত লাগালেন আরামবাগ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা বিধানসভা কেন্দ্রটি তার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হওয়ায় তিনি চন্দ্রকোনা ব্লকের ব্রহ্মঝাড়ুল এলাকায় জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে এসেছিলেন। সেখানে জমিতে মিতালি বাগকে আলু তুলতে দেখে অবাক চাষি ও খেতমজুররা বলেন, জিততে পারলে ক’দিন পরে যিনি লোকসভায় যাবেন, তিনি আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করবেন-এটা আমরা কখনও ভাবতে পারিনি। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তিওয়ারি।
ক্ষীরপাই-চন্দ্রকোনা রাস্তার পাশে একদল শ্রমিককে মাঠে আলু তুলতে দেখে মিতালিদেবী তাদের সঙ্গে আলাপ করতে জমির আল ধরে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান। এরপর শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতে লাঙল নিয়ে আলু তুলতে শুরু করেন। মাঠ থেকে আলু কুড়িয়ে ঝুড়িতে তুলে বস্তায় ভর্তি করেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করতে করতে বলেন, আমি খুব সাধারণ বাড়ির মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির সব ধরনের কাজ করার অভ্যেস রয়েছে। ছবি তোলার জন্য নয়, এঁদের দেখতে পেয়ে মাঠে নেমে পড়লাম।নির্বাচনের সময় ঘাটাল মহকুমার মানুষ এধরনের দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও অরূপবাবুকে জোড়া বলদ নিয়ে মাঠে চাষ করতে দেখা গিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ওই দলের চন্দ্রকোনা বিধানসভা কেন্দ্রের আহ´ায়ক সুদীপ কুশারী বলেন, ওটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেমন ক্ষণে ক্ষণে নাটক করেন, তাঁর দলের নেতানেত্রীরাও সেটাই করছেন। এতে অবাক হওয়ার কী আছে! ক্ষীরপাই শহরের বাসিন্দা এক শিক্ষক বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দলুইকেও সাধারণ মানুষের হয়ে ঘুঁটে দিতে, রান্নাঘরে গিয়ে মাছ ভাজতে, জ্বালানি হিসেবে কঞ্চি কাটতে, রাজমিস্ত্রির জোগানদার হিসেবে কাজ করতে দেখেছি। আসলে ভোট বড় বালাই। নির্বাচনের পর কিন্তু অরূপবাবু কিংবা শঙ্করবাবুকে মাঠের ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি।