কাল অযোধ্যায় মোদি , উদ্বোধন করবেন নতুন বিমানবন্দর, দুটি অমৃত ভারত ও ৬ টি বন্দে ভারত

অযোধ্যাজুড়ে এখন প্রায় রাজসূয় যজ্ঞ। ঐতিহাসিক রাম মন্দির ঘিরে তুমুল ব্যস্ততা। আজ সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে শুক্রবার পর্যন্ত জোরকদমে চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেজে উঠেছে স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট। বদলে যাচ্ছে অযোধ্যা রেলস্টেশনের নাম। তার নতুন নাম রাখা হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে। রোড শো করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

সূত্রের খবর, শনিবার প্রধানমন্ত্রী যে ২টি অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন, তার মধ্যে একটি পাচ্ছে বাংলা। মালদা টাউন থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত যাবে ট্রেনটি। রামের মুকুটের আদলে সেজে উঠছে অযোধ্যা ধাম জংশন। আর রামমন্দিরের রূপে সেজে উঠছে নতুন বিমানবন্দর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যা। শহর জুড়ে বসানো হচ্ছে প্রচুর সিসিটিভি। রাস্তায় বসানো হচ্ছে আন্ডার ভেহিক্যাল স্ক্যানার। অযোধ্যা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা রাজকিরণ নাইয়ার, ‘পুলিশ সবদিক থেকে প্রস্তুত। সেন্ট্রাল প্যারা মিলিটারি, অতিরিক্ত পুলিশ আছে। সব যাতে নিরাপদে হয়, ভিভিআইপি রয়েছে। বর্ডারে চেকিং হচ্ছে। যা প্রয়োজন তা করা হয়েছে।

শনিবার উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে একসঙ্গে দুটি অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুটি অমৃত ভারত ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করবেন তিনি। এর মধ্যে একটি ট্রেন চলবে রাজ্যে। মালদা টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরুর স্যার এম বিশ্বেশ্বরায় টার্মিনাস পর্যন্ত চলবে ওই ট্রেন। অপর একটি অমৃত ভারত ট্রেন চলবে দ্বারভাঙা থেকে অযোধ্যা হয়ে আনন্দ বিহার পর্যন্ত। প্রশ্ন উঠেছে, হাওড়া বা শিয়ালদহ নয়, মালদাকে কেন বেছে নেওয়া হল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উত্তরবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এই স্টেশন বেছে নেওয়া হয়েছে। এই জেলা থেকে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ ট্রেন ধরেন।

এই দুটো ট্রেনই দেশের প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলিতে থাকবে এক বিশেষ প্রযুক্তি, যাতে ট্রেনে চাপলে কোনও ঝাঁকুনিই অনুভব করবেন না যাত্রীরা। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেমিকাপলার টেকনোলজি নামে এক বিশেষ প্রযুক্তি আছে ওই ট্রেনে। ট্রেনের গতি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তাতেও যাত্রীরা অনুভবই করতে পারবেন না কোনও ঝাঁকুনি।

এতদিন পর্যন্ত ট্রেনগুলির কামরার মাঝে যে কাপলার থাকত, তাতে ট্রেন থামলে বা চালু হলেই ঝাঁকুনি অনুভব করা যেত। আর অমৃত ভারতে থাকবে সেমি পার্মানেন্ট কাপলার। যে প্রযুক্তিতে ট্রেন থামলে বা চললে কিছু বোঝা যাবে না। এছাড়া এই ট্রেনে থাকছে দুটি ইঞ্জিন। ট্রেনের দু পাশে দুটি ইঞ্জিন লাগানো থাকবে। এই প্রযুক্তিকে পুশপুল প্রযুক্তি বলা হচ্ছে। এই ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া হবে ৩৫ টাকা।

এদিকে রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এদিন অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি নিয়ে বৈঠক করে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। মন্দির উদ্বোধনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আজ রামলালা ট্রাস্টের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। রামলালার কোন মূর্তি গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। রাম মন্দিরের শেষ মুহূর্তের নির্মাণ কাজ কীভাবে চলছে, খতিয়ে দেখতে এদিন পরিদর্শনে যান অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =