গ্রহণযোগ্যতা যাদের বেশি, তাদের দলের সামনের সারিতে রাখা উচিত: অর্জুন সিং

ব্যারাকপুর : বীজপুর কেন্দ্রের টানা সাত বারের সিপিএম বিধায়ক প্রয়াত জগদীশ দাসের বাড়িতে তাঁর বউমা সোমা দাসের আমন্ত্রণে বনভোজনে বুধবার হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যদিও সোমা দাস এখন তৃণমূলে। কাঁচড়াপাড়ার মান্দারি হাইস্কুল সন্নিহিত একসময়ের বামপন্থী নেতার বাড়িতে এদিন দলের বহু পুরানো কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।
সাংসদ অর্জুন সিং এদিন বলেন, ‘সমাজে যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাঁদেরকেই দলের সামনের সারিতে রাখা উচিত।’ নবীন-প্রবীণ বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে তিনি বললেন, ‘দলে নবীন আর প্রবীণ বিচার না করে দেখতে হবে স্বচ্ছ ইমেজ কার? বামপন্থী নেতার বউমার ডাকে হাজির হয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে বীজপুরে যারা দল করেন। তারা এক জায়গায় মিলিত হয়েছি। কিন্তু এমন একটা জায়গায় তারা হাজির হয়েছেন, সেটা সৌভাগ্যের। কারণ, প্রয়াত বাম বিধায়ক জগদীশ দাস শুধু শিল্পাঞ্চলের নয়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে বামপন্থী আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন প্রয়াত বাম বিধায়ক জগদীশ দাস।’ সাংসদের কথায়, দলের সুপ্রিমোর স্পষ্ট নির্দেশ, পুরানো কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। অন্য দিকে, বাম বিধায়কের বউমা সোমা দাস জানান, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের লড়াকু ও কর্মী দরদী মনোভাব দেখেই তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ। যদিও তিনি আগে কোনও দল করতেন না। তাঁর শ্বশুর জগদীশ দাস ছিলেন বীজপুর কেন্দ্রের সাত বারের সিপিএম বিধায়ক। তা সত্ত্বেও অর্জুন সিংয়ের মতো একজন দক্ষ নেতাকে দেখেই তৃণমূলে তাঁর যোগদান। এদিনের বনভোজনে সাংসদ ছাড়াও হাজির ছিলেন কাঁচড়াপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী, হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্যাণী বসু বিশ্বাস, বন্ধু গোপাল সাহা ও সুজিত দাস, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা ওঙ্কর নাথ সাউ, মন্নু সাউ, টুম্পা বিশ্বাস-সহ দলের আদি কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 8 =