ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই মস্কোয় গিয়ে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করলেন এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুগটা যুদ্ধের নয়।’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি, অর্থনৈতিক চাপ এবং বাণিজ্য সমস্যা বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। তার উপর আমরা এখন ইউক্রেন সংঘাতের পরিণতি দেখতে পাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘদিনের সমস্যাও রয়েছে। এগুলো বিশ্বের অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নির্দিষ্ট আঞ্চলিক উদ্বেগগুলির সমাধান নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউরোপ আমেরিকা যখন রাশিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে সম্পর্ক ছিন্ন করছে, ভারত কিন্তু মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করে চলেছে। পশ্চিমী হুমকি উপেক্ষা করে মস্কোর থেকে তেলও কিনে চলেছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই বিষয়ে পশ্চিমী দেশগুলির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
এদিনও জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘এক ক্রমবর্ধমান বহু-মেরু এবং নতুন ভারসাম্যের বিশ্বে একে অপরের সঙ্গে জড়িত ভারত এবং রাশিয়া। আমরা এমন দুটি রাষ্ট্র, যাদের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী স্থিতিশীল এবং পরীক্ষিত সম্পর্ক রয়েছে। ভারত তেল এবং গ্যাসের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানীকারক দেশ। আমাদের আয়ও খুব বেশি নয়। তাই আমাদের সাশ্রয়ী মূল্যের তেল ও গ্যাসের উৎস সন্ধান করতেই হবে। ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আমাদের জন্য সুবিধাজনক। আমরা এটা (তেল আমদানি) চালিয়ে যাব।’