নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত নোয়াপাড়া থানায় মিউজিয়াম তৈরির পরিকল্পনা

১০/১২ ফুটের একটা ছোট্ট ঘর। নোয়াপাড়া থানার সেই ঘরেই কয়েক ঘণ্টা বন্দি ছিলেন দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত কক্ষটিকে সর্বসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ইতিহাস বলছে, ১৯৩১ সালের ১১ অক্টোবর বিকেলে নেতাজি জগদ্দলের গোলঘর পার্কে বঙ্গীয় চটকল শ্রমিক সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেদিন তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ শ্যামনগর চৌরঙ্গী কালীবাড়ি মোড় থেকে নেতাজিকে আটক করে। তারপর তাঁকে কয়েক ঘণ্টা নোয়াপাড়া থানায় বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও পরদিন ১২ অক্টোবর মধ্যরাতে নেতাজিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেতাজির স্মৃতিধন্য কক্ষটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। নেতাজিকে স্মরণে রেখে প্রতি বছর নোয়াপাড়া থানার উদ্যোগে তাঁর জন্মবার্ষিকী ঘটা করেই উদযাপন করা হয়। মঙ্গলবার সেই অনুষ্ঠানে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া বলেন, নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত এই নোয়াপাড়া থানা। তবে এই থানাকে নতুন করে গড়া হয়েছে। আর নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত থানার পুরাতন বিল্ডিংটিকে মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে দেশনায়ক নেতাজীর সমস্ত নথিপত্র সংরক্ষন করা হবে। নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এদিন হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ শ্রীহরি পান্ডে, নোয়াপাড়া থানার আইসি পার্থ সারথি মজুমদার, গারুলিয়া ও উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান যথাক্রমে রমেন দাস ও মলয় ঘোষ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 11 =