বিজেপির ধর্মতলার সমাবেশে রাখা হচ্ছে একাধিক ‘ড্রপ বক্স’। এই ড্রপ বক্সে ২৯ নভেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার এই সমাবেশে আসা ‘মানুষজন তাঁরা কেন্দ্রের কোন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত, সে ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পারবেন ওই ড্রপ বক্সে। রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে আগামী বুধবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে জোর প্রস্তুতি চলছে সেখানেও প্রচারে সামনে আনা হয়েছে এই ড্রপ বক্সের কথা।
কারণ, বছর ঘুরলেই মহারণ। চব্বিশে দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে কলকাতার মেগা রাজনৈতিক কর্মসূচি উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় নানাভাবে প্রচার ও সভার পাশাপাশি এবার এই ‘ড্রপ বক্স’-এর ভাবনা বঙ্গ বিজেপির। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘বুধবার আমাদের ধর্মতলার সভা মঞ্চের আশপাশে বেশ কিছু ড্রপ বক্স রাখা হবে। আমরা তৃণমূল সিপিআইএম, নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ-সহ বাংলার সব স্তরের রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক ও আম জনতার কাছে আবেদন করছি যে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সমর্থক হওয়া বঞ্চিত মানুষজন সেদিন ধর্মতলা এসে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত, তা বিস্তারিত উল্লেখ করে ওই ড্রপ বক্সে তাদের অভিযোগ জমা দিন। কেন না আমরা চাই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক এলাকার মানুষজন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না হন।’
আর এখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, বঙ্গ পদ্ম শিবির যে অভিযোগ বারবার করছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে তার ওপরেই বোধহয় সিলমোহর দিতে চাইছেন এই ড্রপ বক্সের সূতর ধরেই। কারণ, বিজেপির তরফ থেকে যে অভিযোগ বারবার সামনে আনা হচ্ছে তা হল, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কিংবা কাটমানির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য উপভোক্তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- মন্ত্রীরা। এক কথায় কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে বলেও অভিযোগে সুর চড়ায় গেরুয়া ব্রিগেড। আর ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে এই হাতিয়ারকে শাসক দলের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চাইছে স্যাফ্রন ব্রিগেড। শুধু তাই নয়, ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শাহি সমাবেশের মাধ্যমে আসলে বঙ্গ পদ্ম শিবির বাংলার প্রান্তিক মানুষের মন পেতে চাইছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।